নিজস্ব প্রতিবেদন: মসজিদে নমাজ পাঠ, ইসলামে অপরিহার্য নয়। নমাজের জন্য মসজিদ কি অপরিহার্য, না কি যে কোনও জায়গায় নামাজ পাঠ করা যেতে পারে? মসজিদ কি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ? পুনর্বিচার না করে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বিষয়ে পূর্বের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, নমাজ পাঠের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়। এর সঙ্গে আরও বলা হয়েছিল, সরকারের প্রয়োজনে মসজিদ-এর জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। এদিন শীর্ষ আদালত সেই পুরানো রায়ই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি অশোক ভূষণ এ বিষয়ে সহমত হয়েছেন। কিন্তু, বিচারপতি নাজির ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, এই মামলা ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে যে, এই রায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা সংক্রান্ত মূল মামলার রায়কে প্রভাবিত করবে না। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরি হবে না মসজিদ- এই বহু আলোচিত মামলার রায়কে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে দেশের শীর্ষ আদালতের এদিনের এই রায়। আরও পড়ুন- সুপ্রিম রায়ে পরকীয়া আর অপরাধ নয়, ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক


৬ ডিসেম্বর'১৯৯২। ষোড়শ শতকের বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে 'দক্ষিণপন্থী' করসেবকরা। করসেবকদের দাবি, ওই জমিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন 'রামলালা'। এরপর থেকে এই ঘটনার চূড়ান্ত অভিঘাত পড়েছে ভারতের রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনে। কিন্তু, সেই বিতর্কের অবসান ঘটেনি আজও। ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী, নমাজ পাঠের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়। এরপর ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় অনুসারে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মোট তিন ভাবে বিভক্ত করে দেওয়া হয়। হিন্দু মহাসভা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহি আখড়াকে এক তৃতীয়াংশ ভাগ করে জমির মালিকানা দেওয়া হয়। কিন্তু, এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয় হিন্দু মহাসভা এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উভয় পক্ষই। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি, ১৯৯৪ সালের সুপ্রিম রায়ই প্রভাব ফেলেছিল ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে। তাই মসজিদ নমাজ পাঠের জন্য অপরিহার্য কি না এই মামলার নিস্পত্তি চেয়েছিল তারা। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়কেই বহাল রাখল এবং মামলাটিকে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হল না। এর ফলে চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা সম্পর্কিত মূল মামলার শুনানি শুরু হওয়ায় আর কোনও বাধা থাকল না।