নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ৩ মাস পর দিল্লি ভোটের ঠিক মুখে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার লোকসভায় সে কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যাতেই মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি চিহ্নিত করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।  অযোধ্যার প্রস্তাবিত রাম মন্দির থেকে ওই জমি ২৫ কিলোমিটার দূরে। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা বলেন,''অযোধ্যার ধানিপুর গ্রামে লখনৌ হাইওয়ের ধারে জমি দেওয়া হবে।''     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, ১৪ কোশী পরিক্রমা থেকে দূরে মসজিদের জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে। ওই জায়গায় পরিক্রমা করেন ভক্তরা। সাধুসন্তরা জায়গাটি থেকে দূরে মসজিদের জন্য জমি দেওয়ার দাবি করেছিলেন। সেই দাবি মেনে পরিক্রমা সীমানার বাইরে মসজিদের জন্য জমি দিতে চলেছে যোগী সরকার। 


গতবছর নভেম্বরে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, ২.৭৭ একর জমি তৈরি হবে রাম মন্দির। সেজন্য ৩ মাসের মধ্যে গঠন করতে হবে একটি ট্রাস্ট। মসজিদের জন্য অযোধ্যার মধ্যেই দিতে হবে ৫ একর জমি। সেই জমি বাছাইয়ের কাজেই নেমেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।  


বুধবার লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন,''শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার সরকার। রাম মন্দির নির্মাণে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে ওই ট্রাস্ট। আসুন সবাই অযোধ্যায় রামমন্দিরের সমর্থন জানাই।'' দিল্লির বিধানসভা ভোটের আগে শাহিনবাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমে পড়েছে বিজেপি। অমিত শাহ তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শাহিনবাগের এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে দেশবিরোধী দাগিয়ে দিয়েছেন। ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্তও দিল্লি ভোটের আগে রাম নামে ভোট টানার কৌশল বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 


আরও পড়ুন- ফাঁসি আটকাতে আর ১ সপ্তাহ সময় পাবে নির্ভয়ার দোষীরা, নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের