নিজস্ব প্রতিবেদন : মাকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখে ফেলেছিল ৬ বছরের মেয়ে। শিশুকন্যাটিকে এর মাসুল দিতে হল প্রাণ দিয়ে। নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বামীর কাছে গোপন রাখতে, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নিজে হাতেই মেয়েকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। আরও অভিযোগ, খুনের ঘটনা আড়াল করতে তারপর পুলিসের কাছে বানিয়ে বানিয়ে কালাজাদুর গল্পও ফাঁদে মা। ঘটনাটি গাজিপুরের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস জানিয়েছে,  বুধবার রাতে এক পরিবার এসে জানায় তাদের ৬ বছরের মেয়ে কাজলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত শুরু করে প্রথমেই নিখোঁজ শিশুকন্যার ছবি হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশিও চালানো হয়। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। কোথাওই নিখোঁজ শিশুকন্যাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এরপর ওই শিশুর বাড়ির পাশের আবাসনের ছাদে শিশুটির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা।


মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হতেই 'ভেঙে পড়ে' মা মুন্নি দেবী। এরপরই পুলিসের কাছে গল্প ফাঁদে মুন্নি। সে জানায়, প্রতিদিনের মতই বিকেলে খেলতে গিয়েছিল কাজল। সেইসময় সে ঘরেই স্বামী ও অপর দুই সন্তানের সঙ্গে ছিল।  সন্ধ্যা হয়ে গেলেও কাজল ঘরে না ফিরলে, খোঁজাখুঁজি শুরু করে তারা। কাজলের বন্ধুদেরকে কাজলের কথা জিজ্ঞেস করতে তারা জানায়, কাজল কোনও 'অলৌকিক' কিছুকে দেখে এগিয়ে যায়। তারপর আর তাদের সঙ্গে খেলতে আসেনি। মৃতদেহ উদ্ধার হতেই, মেয়ের খুনের পিছনে কালাজাদুর হাত রয়েছে বলে দাবি করে মুন্নি।


আরও পড়ুন, মাংসের ঝোলই চিনিয়ে দিল 'স্বামীরূপী' প্রেমিককে!


প্রাথমিকভাবে মুন্নির কথা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হলেও, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারে না সে। তখনই পুলিসের সন্দেহের তির ঘুরে যায় মুন্নির দিকে। পুলিসের টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মুন্নি। মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। জেরায় মুন্নি জানায়, কাজল ছাদে খেলছিল। সেইসময় প্রেমিক সুধীরের সঙ্গে তাকে দেখে ফেলে কাজল। তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে  দৌড়ে গিয়ে বাবাকে সেকথা জানাতে যায় কাজল। কোনওমতে তাকে ধরে ফেলে ফের ছাদে নিয়ে আসে মুন্নি। কাউকে কোনও কথা জানাতে কাজলকে বারণ করে সে। কিন্তু মায়ের কথা শুনতে রাজি হয় না কাজল।


এরপরই কাজলকে চিরতরে চুপ করিয়ে দিতে প্রেমিক সুধীরের সঙ্গে মিলে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে মুন্নি। ছুরি দিয়ে কাজলের গলার নলি কেটে দেয় যুগলে। কাজলকে খুনের পর মৃতদেহটি পাশের আবাসনের ছাদে ছুড়ে ফেলে দেয় মুন্নি ও সুধীর। এরপর সুধীর পালিয়ে যায়। আর মুন্নি বাড়ি ফিরে মেয়েকে খোঁজার ভান করতে শুরু করে।


আরও পড়ুন, 'রোম্যান্সে বিগড়ে যাবে পড়ুয়ারা', বিয়ের দিনই বরখাস্ত শিক্ষক দম্পতি


প্রেম গোপন করতে একজন মায়ের এরকম ভয়ঙ্কর 'কীর্তি'র কথা শুনে স্তম্ভিত পুলিস। অভিযুক্ত মুন্নি ও সুধীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।