ঔরঙ্গাবাদে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মালগাড়ির চালকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলের দাবি, ভোরে রেললাইনের ওপর চালকদের শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন মালগাড়ির চালক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঔরঙ্গাবাদে মালগাড়ির ধাক্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রেলের তরফে জারি তদন্ত।
রাজ্য সরকারের ঘোষণা
মৃত ১৪ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস, তাঁদের সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
রেলের দাবি
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মালগাড়ির চালকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলের দাবি, ভোরে রেললাইনের ওপর চালকদের শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন মালগাড়ির চালক। তিনি ট্রেন থামানোর সর্বোতভাবে চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিষয়টি তাঁর হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। বদনাপুর ও কর্মাদ স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর টুইট
ঔরঙ্গাবাদে মালগাড়ির ধাক্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় গভীরভাবে শোহাকত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, চালকের ভূমিকা কী, তা নিয়ে রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, "এতগুলো প্রাণ একসঙ্গে শেষ হয়ে গেল। আমরা মর্মাহত। রেলমন্ত্রী গোটা বিষয়টির ওপর নজর রেখেছেন। প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম বিষয়ে সাহায্য করা হবে।"
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী মীনা সিং।
ঘটনার বিবরণ
শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঔরঙ্গাবাদের অদূরে কর্মাদ এলাকায় এক মালগাড়ির ধাক্কায় ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
ঔরঙ্গাবাদ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকরা জানলায় একটি স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করতেন। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরতেই একসঙ্গে রেললাইন ধরে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। ভোররাতে ঔরঙ্গাবাদের কর্মাদ সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা । ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
১৪ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করে ঔরঙ্গাবাদ পুলিস।