Madhya Pradesh News: বাড়ির পোষ্যকে মারতে বাধা, স্ত্রী-সন্তানদের তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে খুন বাড়ির কর্তার
Madhya Pradesh News: বেঁচে যাওয়া ওই দুই কিশোর পাশের বাড়িতে লাফিয়ে পড়ে গোটা ঘটনা বলে। তারাই পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এসে দেখে বাড়িতে কুকুর ও চার জনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। প্রত্যেকের দেহেই গভীর আঘাতের চিহ্ন। আহত দুই কিশোরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাড়ির পোষা কুকুর বড্ড চেঁচায়, বিশেষ করে মদ খেয়ে ঘরে ঢুকলে তো তুলকালাম। মনে মনে ক্ষোভ ছিলই। সেই ক্ষেভেরই মারাত্মক পরিণতি। কুকুরের সঙ্গে প্রাণ গেল পরিবারের ৪ জনের। ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্য়ীয়িনীর বাদনগরে। বাড়িতে ফিরে স্ত্রী ও ২ ছেলে মেয়েকে তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে খুন করল এক মত্ত ব্যাক্তি। কারণ হল বাড়ির পোষ্যকে মারতে বাধা দিয়েছিল পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদকের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ! মোটা টাকা খোয়ালেন বেহালার যুবক
শনিবার রাতে নেশা করে ঘরে ফিরেছিলেন দিলীপ পারমার নামে এক ব্যক্তি। ঘরে ঢুকতেই চিল চিত্কার জুড়ে দেয় বাড়ির কুকুরটি। এরপরই রাগে উন্মত্ত হয়ে তলোয়ার দিয়ে কুকুটিকে মারতে যায় দিলীপ। তাতে বাধা দেয় স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা। তার পরেই তলোয়ার দিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে খুন করে দিলীপ। বাবার তাণ্ডব দেখে ছাদে উঠে পাশের বাড়ির ছাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৩ ও ১১ বছরের অন্য দুই ছেলে। এরপরই কুকুরকে মেরে নিজেও আত্ঘাতী হয় দিলীপ। ওই দুই কিশোরের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রাজ্যে এমন নৃশংস ঘটনা সাম্প্রতিক কালে এই প্রথম নয়। গত এক সপ্তাহে এরকম ঘটনা এনিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয়। তিন দিন আগেই বাড়ির পোষা কুকুরকে মারধর করায় কুকুরের মালিক একটি পরিবারের ২ জনকে গুলি করে মারেন ইন্দোরের এক ব্যক্তি। আরও ৬ জন ওই ঘটনায় আহত হয়।
বাদনগরের ঘটনায় পুলিসের এসএইচও দীনবন্ধু তোমার বলেন, পরিবারের তিন জনকে মেরে ফেলার ওই ঘটনা ঘটেছে বালোদা আরজি গ্রামে। ঘটনার দিন দিলীপ পারমার মত্ত অবস্থায় ঘরে ফিরেছিলেন। ঘরে পা দিতেই তাকে দেখে চিত্কার করতে থাকে তাদের পোষা কুকুর। এরপরই বাড়ি থেকে তলোয়ার বের করে সে কুকুরটিকে কুপিয়ে মারতে যায়। তাতে বাধা দিতেও ভয়ংকর ওই ঘটনা। দিলীপকে বাধা দিতে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী গঙ্গবাই। তাকে তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন দিলীপ। এরপর মেয়ে নেহা(১৭), ছেলে যোগেন্দ্রকেও(১৪) খুন করেন। এরপর অন্য দুই ছেলে বুলবুল(১৩) ও দেবেন্দ্রর(১১) উপরেও হামলা চালায় সে। তলায়ারের কোপ খেয়েও তারা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এরপর সেই তলোয়ার দিয়েই সে নিজের গলা কেটে ফেলে।
বেঁচে যাওয়া ওই দুই কিশোর পাশের বাড়িতে লাফিয়ে পড়ে গোটা ঘটনা বলে। তারাই পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এসে দেখে বাড়িতে কুকুর ও চার জনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। প্রত্যেকের দেহেই গভীর আঘাতের চিহ্ন। আহত দুই কিশোরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।