নিজস্ব প্রতিবেদন: 'তালিবানি অপরাধ' করেছে তাবলিঘি জামাত। এই ধরনের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। ঠিক এই ভাষাতেই দিল্লির ধর্মীয় জমায়েতের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে নকভি বলেন,''বহু মানুষের জীবন বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে তবলিঘি। সরকারি নির্দেশি লঙ্ঘন করেছে ওরা। এই ধরনের সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া উচিত।''  নকভির সংযোজন, এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যারা লকডাউন মানছে না, তাদের ক্ষমা করা যায় না। 


দিল্লির নিজামুদ্দিনে মরকজে  ১৩-১৫ মার্চ সমাবেশ ছিল তবলিঘি জামাতের। সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বিদেশিরা। সেখান থেকে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। ২৪ জন আক্রান্ত হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। নিজামুদ্দিনের মরকজ ভবনে  থাকা ২৩৫৫ জনকে বের করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁদের মধ্যে ৪৫০ জনকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। বাকিদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। 


নিজামুদ্দিন থেকে বাংলায় ফিরেছেন অনেকে। নবান্ন জানিয়েছে, দিল্লিতে তবলিঘি জামাতের সমাবেশ থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরেছেন তাঁদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সবার করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করা হবে। ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় লকডাউন। প্রশাসন সূত্রে খবর, লকডাউনের পরও নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সদর দফতরে রয়ে যান দেশ-বিদেশ থেকে আসা দেড় হাজারের বেশি মানুষ। তবলিঘি জামাতের সদর দফতরে তালা পড়েছে। প্রধান উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিস। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিস এবং আধাসেনা।


আরও পড়ুন- তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠানে ভিসা বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন ৮০০ বিদেশি নাগরিক