নিজস্ব প্রতিবেদন: আবাসনে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৪৮। আর সেখানে গাড়ি রাখার জায়গা মাত্র ৬০টি। ফলে অধিকাংশ গাড়িই বেআইনি ভাবে রাখা থাকে আবাসনে ঢোকার রাস্তায়। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে আবাসনে ঢুকতে পারে না ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার রাতে এই গাফিলতিতেই ৫ জনের প্রাণ গেল মুম্বইয়ের সরগম সোসাইটিতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে সগরম সোসাইটির ৩৫ নম্বর বহুতলের ১৪ তলায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ জনের। সময়মতো পৌঁছেও গাড়ি আবাসনের ভিতরে ঢোকাতে না পারায় উদ্ধারকাজ শুরু করতে দেরি হয় দমকল কর্মীদের। ল্যাডারের বদলে সিঁড়ি দিয়ে উঠে উদ্ধারকাজ শুরু করেন তারা। মুম্বই দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মীরা সেখানে পৌঁছে দেখেন আবাসনের অধিকাংশ খোলা জায়গায় রাখা হয়েছে গাড়ি ও মোটরসাইকে। ফলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢোকানোর জায়গা নেই। 


মুম্বই পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মেইন গেট থেকে শুরু করে গোটা আবাসনে যেখানে সেখানে রাখা ছিল গাড়ি। এমনকী ইলেক্ট্রিকের মিটার বক্স ছুঁয়ে দাঁড় করানো ছিল কয়েকটি গাড়ি। যা অগ্নি নিরাপত্তা বিধির পরিপন্থী। আগুন লাগার পর দমকলের গাড়ির জন্য রাস্তা করে দিতে পড়িমরি করে গাড়ি সরাতে শুরু করেন আবাসিকরা। কিন্তু সংকীর্ণ জায়গায় গাড়ি সরিয়ে রাস্তা বার করতে অনেক সময় পার হয়ে যায়। 


আবাসিকদের অভিযোগ, যাবতীয় বেনিয়মের দায় আবাসনের নির্মাণকারী সংস্থার। মিটারবক্সের সামনের ছোট জায়গাটিও পার্কিং হিসাবে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। শিশুদের খেলার মাঠের জায়গায় তৈরি করেছে ১৫ তলা ভবন। 


রামদেবের সংস্থাকে লভ্যাংশ দেওয়ার নির্দেশ দিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট


এমনকী, আবাসনের বহুতলগুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার সঙ্গে যোগ নেই কোনও জলের ট্যাঙ্কের। আবাসিকদের দাবি, নিজেদের খরচে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র লাগিয়েছেন তাঁরা। 


দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত জলের জোগান না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় তাদের। নীচ থেকে ১৪তলায় জল তুলে আগুন নেভান তাঁরা। 
ঘটনায় আবাসনের নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির জেরে মৃত্যুর ধারায় মামলা রুজু করেছে মুম্বই পুলিস।