নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে এখন মিটু স্রোত। রূপোলি দুনিয়া থেকে রাজনীতির ময়দান, এক একটা বিস্ফোরণে পড়ে যাচ্ছে বড় বড় উইকেট! যৌন হেনস্থার অভিযোগ কি না এম জে আকবরের মতো সাংবাদিক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাদ যাননি অলোক নাথ এবং নানা পাটেকরের মতো অভিনেতারাও। এরই মধ্যে মুম্বইয়ে যা  ঘটল তাতে হতচকিত গোটা দেশ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা চিরকাল নীপিড়িত, এই কথা যারা বলেন তারাও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার গভীর রাতের ঘটনা। মুম্বইয়ের এক মডেল, রাত একটায় ওয়াচ গার্ডের কাছে সিগারেট এনে  দেওয়ার জন্য আর্জি করে। গার্ড তা এনে দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে চড় কষিয়ে দেন সেই মডেল। এখানেই শেষ নয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজের জামাকাপড় খুলে বিপত্তিকর পরিস্থিতিও তৈরি করেন তিনি। সেই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পর থেকেই তা সারা দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে। এখন ফেসবুক খুললেই সেই মডেলের জামাকাপড় খোলার ভিডিও চোখে পড়বে আপনার। লোকে বলাবলি করছে এটা না কি হ্যাশট্যাগ মিটু-র  চূড়ান্ত অপব্যবহার। তবে অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে মিটু আন্দোলনকে মিশিয়ে দিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। 



পরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মুম্বইয়ের ওই মডেল নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি রাত একটায় ওয়াচ গার্ডকে সিগারেট এনে দেওয়ার আবদার করেন। তাঁর কথা মতো সিগারেট না এনে দেওয়ায় মাথা গরম করে তিনি ওয়াচ গার্ডের গালে সপাটে চড় কষান। তবে ওরকম ভাবে জামাকাপড় খোলা নিয়ে কোনও যুক্তি গ্রাহ্য সাফাই তিনি দিতে পারেননি। 


এএনআই-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ওয়াচ গার্ড ও পুলিসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুম্বইয়ের ওই মডেল জানিয়েছেন, সেখানে উপস্থিত সব ওয়াচ গার্ডই তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করতে থাকেন। পরে তিনি পুলিস ডাকতে বাধ্য হন। তবে সেই রাতে তিনি স্রেফ টু পিস পরে ছিলেন, সেই কারণে ওই অবস্থায় তিনি আর থানায় যেতে পারেননি। তাঁর এও অভিযোগ, পুলিস কোনও মহিলা কনস্টেবলও নিয়ে আসেনি।  এএনআই-কে তিনি জানিয়েছেন, তার ভয় করছিল। ওই ভাবে ওতো রাতে তিনি পুলিসের সঙ্গে যেতেও ভয় পাচ্ছিলেন। এমন সময় আর কোনও উপায় না দেখে শেষে জামা-কাপড় খুলে অর্ধ নগ্ন হন তিনি। ওই মডেল এও বলেন, পুলিসের সঙ্গে যেতেও তাঁর ভয় করছিল, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল তাঁরা তাঁকে ধর্ষণ করতে পারে, খুনও করতে পারে!




সোমবার নিজের বক্তব্য তুলে ধরে একটি টুইটও করেন ওই মডেল। যেখানে মুম্বই পুলিস প্রত্যুত্তরে জানায়, ওই রাতে কাউকেই থানায় নিয়ে আসা হয়নি। আর পুলিস হেল্পলাইন নম্বরে (১০০)ফোন পাওয়ার পরই সেই আবাসনে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, পরে এই ঘটনায় মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা থানায় একটি এফআইএর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।