International Women`s Day 2023: বেশিরভাগ প্রেগনেন্সি হচ্ছে ধর্ষণের জন্য! নারী দিবসেই প্রকাশ্যে বিস্ফোরক রিপোর্ট
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মুম্বইয়ে গর্ভপাত করানো মোট ৩০,০৯২ জন মহিলার মধ্যে ১৭ জন কিশোরী। যাদের বয়স ১৫ বছরের কম। তাদের মধ্যে ৩৩১ জনের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। যে ১৭ জন কিশোরী গর্ভপাত করেছে তাদের মধ্যে ১০ জন `ই` ওয়ার্ডের, ৪ জন `এফ-উত্তর` ওয়ার্ডের (কিং সার্কেল, মাতুঙ্গা মধ্যাঞ্চল) এবং ১ জন `পি-উত্তর`, `আর-দক্ষিণ` এবং `এফ-দক্ষিণ` ওয়ার্ডের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালেই সামনে এল এক বিস্ফোরক রিপোর্ট। মুম্বইয়ে গর্ভপাতের হার উদ্বেগজনক। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) তথ্য বলছে, এক বছরে 'ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হওয়ার' কারণে ৭৪ শতাংশ (৫০ জনের মধ্যে ৩৭ জন) মামলা হয় বাইকুল্লার ই ওয়ার্ড থেকে।বিএমসি-র জনস্বাস্থ্য দফতর থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) দেখা যাচ্ছে, ৫০ টি ঘটনার মধ্যে 'ধর্ষণের কারণে গর্ভাবস্থা'র হওয়ায় ৩৭টি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে ই ওয়ার্ডের এফ-সাউথ ওয়ার্ডে (পার্লে)। অন্যদিকে ৮টি মামলা কে-পশ্চিমে, আন্ধেরি পশ্চিম দুটি ঘটনা, ভিলে প্যাল ওয়েস্ট এবং এইচ-পূর্বে একটি করে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন, আবগারি নীতির মামলায় নতুন সমন, এবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা
এখানেই শেষ নয়, তথ্যে আরও জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মুম্বইয়ে গর্ভপাত করানো মোট ৩০,০৯২ জন মহিলার মধ্যে ১৭ জন কিশোরী। যাদের বয়স ১৫ বছরের কম। তাদের মধ্যে ৩৩১ জনের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। যে ১৭ জন কিশোরী গর্ভপাত করেছে তাদের মধ্যে ১০ জন 'ই' ওয়ার্ডের, ৪ জন 'এফ-উত্তর' ওয়ার্ডের (কিং সার্কেল, মাতুঙ্গা মধ্যাঞ্চল) এবং ১ জন 'পি-উত্তর', 'আর-দক্ষিণ' এবং 'এফ-দক্ষিণ' ওয়ার্ডের। এছাড়া, যে ৩৩১ জন গর্ভপাত করেছে তাঁদের মধ্যে ৪২ জন কে-ওয়েস্ট ওয়ার্ডের এবং ৩৩ জন ই-ওয়ার্ডের।
পক্সো আইন এবং এমটিপি আইন অনুযায়ী, বিবাহিতা বা অবিবাহিতা গর্ভবতী নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের শিকার বলে গণ্য করা হয় এবং একজন চিকিৎসকরে এই গর্ভাবস্থার কথা কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে এমনকি মেয়েটি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ না করলেও তা প্রযোজ্য। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিচারবিভাগীয় কর্মী ডাঃ নিখিল দাতার বলেন, আইন বিবেচনা করে ১৮ বছরের কম বয়সী মহিলাদের সহবাসে সম্মতি দেওয়ার অধিকার নেই। তার মানে তারা সবাই বৈধভাবে ধর্ষণের শিকার।
যদিও বাস্তবে আমরা অনেক অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েকে সমঝোতামূলক সম্পর্কে দেখতে পাই। পকসো আইনের কারণে ১৮ বছরের কম বয়সী যে সব কিশোরীরা গর্ভবতী তাদের ধর্ষণের শিকার বলে রিপোর্ট করা হয়। তাই যে মেয়ে স্বেচ্ছায় কোনও সম্পর্কে সম্মতি দেয় বা নাবালিকা বিয়ে করে, সেক্ষেত্রেও 'ধর্ষণের ফলে গর্ভধারণ' বলে মামলা নথিভুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ১৮ বছরের কম বয়সী সকল গর্ভপাতের ঘটনা বাধ্যতামূলকভাবে রিপোর্ট করতে হবে সেই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের নজরে রাখতে হবে। এতে শহরে অবৈধ গর্ভপাতের হার কমেছে। যদিও রিপোর্টে দেওয়া সংখ্যা ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েদের এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ের হার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট চেতন কোঠারি বলেন, একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বোঝা যাচ্ছে অনেক নাবালিকা গর্ভপাতের শিকার হয়েছে এবং ওই ওয়ার্ডেই গর্ভপাতের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। পুরসভার উচিত সচেতনতা অভিযান চালানো এবং সচেতনতা তৈরি করে ছোট মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা। তাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং পুলিসের সঙ্গে কথা বলতে হবে।