Mumbai: স্ত্রী-ই দায়ী! নোট লিখে মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী
৪২ বছর বয়সী মুম্বাইয়ের একজন স্টক ব্রোকার, মধ্য মুম্বইতে তাদের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আগে আত্মহত্যা করেছেন এবং তার আগে ১১ বছর বয়সী মেয়ের জীবনটাও শেষ করে দিয়েছেন। হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিস এখনও কিছু নির্ধারণ করতে পারেনি, তবে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি দুঃখজনক ঘটনার জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার একজন ৪২ব ছর বয়সী শেয়ার ব্রোকার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইতে। প্রথমে তিনি তাঁর ১১ বছরের মেয়েকেও দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে, তারপর তিনি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত ব্য়ক্তির নাম ভূপেশ পাওয়া এবং তাঁর মেয়ের নাম আররাহ।
আরও পড়ুন: Maoist Attack: দান্তেওয়াড়ায় ফের মাওবাদী হামলা, শক্তিশালী বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন ১১!
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ভূপেশ পাওয়ার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী সুইসাইড নোটটি হাতের লেখা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল ফরেনসিকে। সুইসাইড নোটে লেখা আছে, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না। তিনি তাঁর সুইসাইড নোটে তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়িরকে দায়ী করেছেন। তাঁদের কারণেই তিনি এই পদক্ষেপ বেছে নিয়েছেন। ভূপেশ আরও লিখেছেন, অনেক দিন ধরে তিনি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার চিন্তা করছিলেন। মুম্বই পুলিশ প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল। তবে, ২০ এপ্রিল সুইসাইড নোটটি দেখার পর তাঁরা দুটি মামলা দায়ের করে, একটি হত্যা এবং অন্যটি আত্মহত্যার প্ররোচনা।
আশে-পাশে প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়,সকাল ৯.৩০ টার দিকে ঝগড়া হওয়ার পর ভূপেশের স্ত্রী ভাগ্যশ্রী কাজে চলে যান।
ভূপেশ পাওয়ারের স্ত্রী ভাগ্যশ্রী বলেছেন, সকাল ১১.৩০ টার দিকে, তিনি তাঁর মেয়ে আরাহ এবং তার স্বামীকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা কেউই তাঁর কল ধরেননি। সে বাড়ি ফিরে এসে অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু কারোর কোনো সাড়া শব্দ পায়নি।
আরও পড়ুন: NCERT | Kerala State Board: মুঘল ইতিহাস থেকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ, কেন্দ্র বাদ দিলেও পড়াবে রাজ্য
তখন তিনি আশে-পাশের প্রতিবেশীদের এবং পুলিসকে ডেকে পাঠান এবং তাঁরা তালা ভেঙে তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে বাবা-মেয়েরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাদের কেইএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিস জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর বাবা ও মেয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।