নয়া দিল্লি: মুম্বইয়ের কল্যাণের যুবক আইসিস কর্মী আরিব মাজিদ আদতে এক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুইসাইড বম্বার। সিরিয়াতে অন্তত তিন জায়গায় সে হামলার চেষ্টা করলেও কোনওবারই সাফল্য পায়নি। এই যুবকের শরীরে বুলেটের ক্ষত আসলে সেই সব হামলার ফলেই। অগাস্টে ইরাকের মসুল ড্যাম আক্রমণেরও অংশীদার ছিল সে। ইরাকি ও মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিতে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্টী আইসিস-এ যোগ দিয়েছিল আরিব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনআইএ আরিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সব তথ্য পেয়েছে বলে জানা গেছে। এতদিন পর্যন্ত এই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র নিজে দাবি করছিল সে আইসিস-এর হয়ে সরাসরি কোনও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। তার শরীরে বুলেটের ক্ষতও নাকি বন্দুক প্রাকটিসের সময়ই হয়েছে। আইসিস তাকে মূলত রাজমিস্ত্রির কাজেই লাগিয়েছিল বলে সে জানিয়েছিল।  


যদিও, তার কথা প্রথম থেকেই বিশ্বাস করেনি এনআইএ। লাই ডিটেকটর টেস্ট অনুযায়ী মিথ্যে বলছে মাজিদ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে কল্যানের এই যুবক জানিয়েছে সে আদতে এক সুইসাইড বম্বার। সিরিয়ার কিছু জায়গায় বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উড়িয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের খুনের পরিকল্পনা ছিল তার। যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হয়েনি সে। বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে তুরস্কে পালিয়ে আসার আগে আইসিস তাকে ২০০০ মার্কিন ডলার নগদ পুরস্কার দিয়েছিল। তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিল।


মাজিদ জেরায় জানিয়েছে আইসিস-এর হয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় মহিলাদের প্রতি এই জঙ্গি গোষ্টীর আচরণ দেখে চমকে যায় সে। জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সে জানিয়েছে আইসিস জঙ্গীরা জোর করে মহিলাদের তাদের শয্যা সঙ্গিনী হতে বাধ্য করত। তাদের বাধ্য করত জঙ্গিদের বিয়ে করতে। গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছে '' মাজিদ বলেছে ইসলামে মহিলাদের প্রতি এই ধরণের আচরণ নিষিদ্ধ। আইসিস জঙ্গিদের এই ধরণের ব্যবহার মোটেও সে পছন্দ করত না।''


তবে এখনই মাজিদ সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি গোয়েন্দারা। তাঁদের বক্তব্য মাজিদ আসলে অনুতাপহীন। এখনও সে মানসিকভাবে আইসিস-এর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ তাঁদের