`ভারত মাতা কি জয়` বলতে হবে! শাহী ইমামকে চড়, গ্রেফতার অভিযুক্ত বজরং দলের কর্মী
`আমি সন্ত্রাসবাদী এবং সকল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি`, দুঃখ প্রকাশ করে এই কথাই বারেবারে বলছেন হিসারের জামা মসজিদের শাহী ইমাম মহম্মদ হারুন।
হরিয়ানা: "আমি সন্ত্রাসবাদী এবং সকল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি", দুঃখ প্রকাশ করে এই কথাই বারেবারে বলছেন হিসারের জামা মসজিদের শাহী ইমাম মহম্মদ হারুন। 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩০ বছর বয়সী মহম্মদ হারুন তাঁর ওপর হওয়া বর্বরোচিত আচরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, "বজরং দলের কর্মীরা আমাকে মসজিদের ভিতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে নিয়ে আসে। তারপর তারা আমাকে জোর করে 'জয় শ্রী রাম', 'জয় মাতা কি' স্লোগানগুলো উচ্চারণ করতে বলে। যেটা আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আমি ভয় পেয়েছিলাম। চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর বজরং দলের কর্মীরা আমাকে একের পর এক চড় মেরে গিয়েছেন। আমি চুপ ছিলাম।" এভাবেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের দাদাগিরি শিকার হয়েছেন মহম্মদ হারুন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বছর তিরিশের অনিলকে গ্রেফতার করেছে হিসারের পুলিস।
কাশ্মীরের অনন্তনাগে অমরনাথ যাত্রীদের ওপর সন্ত্রাস হামলার প্রতিবাদে বুধবার মিছিল করেছে বজরং দল। পুলিসের দাবি এই মিছিল চলাকালীনই হিসারের জামা মসজিদের কাছে চড়াও হয়ে এই কাণ্ড ঘটায় বজরং দলের কর্মীরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর, হিসারের এসপি মণীশ চৌধুরী জানিয়েছেন ৩০ বছরের অনিল ওই অঞ্চলেরই বাসিন্দা, সামনেই একটি বাজারে দোকান রয়েছে তার। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে, দাবি পুলিসের। অভিযুক্ত হারুন জেরায় স্বীকার করেছে, 'ভারত মাতা কি জয়' বলতে বলা হলে, শাহী ইমাম তা বলেননি, তাই তিনি চড় মেরেছেন।
হরিয়ানার শিল্পমন্ত্রী বিপু গোয়েল এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, "এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা প্রত্যেক রাজ্যেই কম বেশি ঘটে। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।"