ওয়েব ডেস্ক: ধর্মাবতার। হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক কথনে রাম একজন অবতার। ভগবান শ্রীবিষ্ণুর দশ অবতারের একটা রূপ রাম। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের এটাই বিশ্বাস। মৎস, কুর্ম, বরাহ, নরসিংহ, বামন অবতার, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধ এবং কল্কি- এই দশজনের মধ্যে সপ্তমজন রাম। এই দশ অবতারের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক বিবর্তন রয়েছে। এই রাম অবতারের নাম জপ করলে মানুষের মধ্যে তৈরি হয় এক অদ্ভুৎ শক্তি, এমনটা আজকের কথা নয়, শতকের পর শতক পেরিয়ে আসছে এই মতবাদ। একবিংশ শতকেও এর প্রভাব একই ভাবে বিরাজমান। সমাজের শ্রেণীবিন্যাস, জাতে মানুষ যাই হোক, যে ধর্মই মেনে চলুন না কেন, এমন কিছু 'শক্তি' মন্ত্র আছে যা জাত-পাত নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে এনে দেয় শক্তি। এমনই এক জ্বলন্ত ঘটনার উদাহরণ, উত্তরপ্রদেশে ঘটেছে। ধর্মে মুসলিম, মুখে রাম নাম, জপ যতই বেড়েছে হৃদয়ে তৈরি হয়েছে শক্তির আগ্নেয়গিরি। প্রেমভাব, শান্তি, ক্ষমা, শক্তির এক জপমালা 'রাম নাম', এমনটাই বলছেন এবং মানছেন উত্তর প্রদেশের ওই মুসলিম বালকরা। বছর বছর ধরে রাম নাম লিখে তাঁরা নিজেদেরকে প্রভাবিত করেছেন, এমন দাবি ক্ষোদ ওই মুসলিম বালকদের। শুধু 'রাম নাম' নয়, গীতাপাঠেও যে জ্ঞান সঞ্চয় হয়, সেকথাও জানিয়েছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

(সূত্র-জি নিউজ)


প্রসঙ্গ অনুযায়ী, কেবল রাম নয়, শ্রীবিষ্ণুর আট অবতারের বৈজ্ঞানিক বিবর্তনের ব্যাখ্যাও জেনে নিন-
 


মৎস-পৃথিবীর তিনভাগ জল আর একভাগ স্থলে প্রথম জলচর প্রানী মাছ।
কুর্ম-উভচর প্রাণী। জল ও স্থল, দুই জায়গাতেই তাঁর বাস।
বরাহ-কেবল স্থলে বসবাস করতে পারে।
পরশুরাম-মানুষের আদিমতম পর্যায়। প্রকৃতির কোলে জীবের বাস। মানুষের জীবনযাপন জঙ্গলে। সেখান থেকেই বিবর্তনের শুরু।
রাম-সমাজ বিবর্তনের একেবারে প্রথম ধাপ। সমাজ, গোষ্ঠী, মানুষ-এই কৃষ্টিতে মানুষের উৎকর্ষতা।
কৃষ্ণ-এই এল রাজনীতি। মানুষের বিবর্তন, সমাজের ধারাবাহিক পরিবর্তন এবং টিকে থাকার লড়াইয়ে মানুষের কূটনীতিক আচরণের এই প্রথম বৈজ্ঞানিক আবির্ভাব।
বুদ্ধ-জ্ঞান ছাড়া পৃথিবী বর্ণহীন, অন্ধকার। জ্ঞানদীপ্তকরণের অবতার গৌতম বুদ্ধ। বিষ্ণুর নবম অবতার।
কল্কি- আসন্ন। এখনও সমাজ শ্রী বিষ্ণুর এই অবতারের অপেক্ষায়। মানুষের মধ্যে থাকবে এমন শক্তি যা হবে ধ্বংস ও সৃষ্টির ধারক ও বাহক।