নিজস্ব প্রতিবেদন- রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। এরই মধ্যে মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ার হুমকি এল। আর এবার এই হুমকি এল অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে। বুধবার ভূমি পুজোর দিন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড-এর তরফেও ক্ষোভের সুরে জানানো হয়েছিল, মসজিদ ছিল, আছে, থাকবে। রামের মূর্তি বসিয়ে দিলেই মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তরিত করা যায় না। এবারঅল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রধান সাজিদ রশিদি প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন, রাম মন্দির ভেঙে ভবিষ্যতে মসজিদ তৈরি করা হবে অযোধ্যায়। তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত সেই জমিতে কোনওদিন মন্দির ছিল না। তাই মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ গড়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। ওই জমিতে মসজিদ ছিল। আর মসজিদ ভেঙেই মন্দির হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রশিদি বলেছেন, ''ইসলাম বলছে, মসজিদ সব সময় মসজিদই থাকে। অন্য কিছু তৈরির জন্য মসজিদ ভাঙা যায় না। আমরা মনে করি, ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ ছিল, আর মসজিদই থাকবে। মন্দির ভেঙে কখনও ওখানে মসজিদ তৈরি হয়নি। কিন্তু এবার সেরকম কিছু হতেই পারে। মন্দির ভেঙে ওই জমিতে আবার মসজিদ নির্মাণ করা হতে পারে।'' রশিদির এমন হুমকির পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজোর পর থেকে একের পর এক মুসলিম সংগঠনের হুমকি নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করছে। গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দিয়েছিল আদালত। ২.৭৭ একর সেই জমি মন্দির নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করলেও, আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, মসজিদ নির্মাণের জন্যও যেন জমি দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-  এবার মসজিদের শিলান্যাসে যাবেন? প্রশ্ন শুনেই রুক্ষ জবাব দিলেন যোগী আদিত্যনাথ


রশিদি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ছেড়ে কথা বলেননি, তিনি জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের অবমাননা করেছেন। তবে যাবতীয় বিতর্কের মাঝেই মন্দির নির্মাণের কাজ এবার শুরু হবে। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন বছর সময় লাগতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।