ওয়েব ডেস্ক: ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস। তেরঙ্গা তোলার দিন, তবুও তাতে বিপত্তি। গত তিন দিন ধরে আসামের ধুবড়ি জেলার ফকিরগঞ্জ নস্করা প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কবলে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুলে স্বাধীনতা দিবস পালন করা সম্ভব! কিন্তু মন মানেনি প্রধান শিক্ষকের।বুক সমান জলে দাঁড়িয়েই পতাকা উত্তোলন করলেন তিনি। সঙ্গ দিল খুদে পড়ুয়ারাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া মুসলিম অধ্যুষিত এই গ্রাম। পুরো গ্রামের সঙ্গেই জলের তলায় ক্লাসরুমও। এই অবস্থায় সেখানে স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। তবু স্কুলের প্রধানশিক্ষক তাজেম শিকদার দু’জন ছাত্র জইরুল আলি খান ও হায়দর আলি খানকে নিয়ে স্কুলের দিকে রওনা দেন। ছাত্রদের নিয়ে জল পেরিয়ে স্কুলে পৌঁছান। স্কুল চত্বরে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা তোলেন। ছাত্ররা তখন প্রায় বুক-জলে দাঁড়িয়ে। তাজেম ছাত্রদের উদ্দেশে দু’চার কথা বলেনও।


 



 


তাজেম বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশের জন্য একটা বড় দিন। আমাদের স্কুল বন্যায় ডুবে গেছে প্রায়। আমি তবুও আমার তিন সহকর্মীকে বলেছিলাম আমাদের এই দিনটি পালন করতেই হবে।’’ তাজেম শুনেছেন তাঁদের ফোটো সারা দেশে ভাইরাল হয়ে গেছে। ‘‘আমরা গর্বিত যে আমরা দেশের এত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।’’


 


স্কুলের শিক্ষক মিজানুর রহমান এই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাজেম ও মিজানুর ছাড়াও অন্য দুই শিক্ষক নৃপেন রাভা ও জয়দেব রায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাজেম শুনেছেন তাঁদের ফোটো সারা দেশে ভাইরাল হয়ে গেছে। ‘‘আমরা গর্বিত যে আমরা দেশের এত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।’’