নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনা ঠেকানোর লড়াইয়ে সবাই শামিল। হিন্দু—মুসলমান, জাত, ধর্ম সেখানে সব উহ্য। আসলে এটা মানবজাতির লড়াই। করোনা থাবা বসাতে পারে যে কারও শরীরে। ধর্ম, বর্ণ, জাত, বড়লোক, গরীব দেখে করোনা হানা দেবে না। এটা যেন ধীরে ধীরে সবাই বুঝতে পারছেন। আর তাই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাই কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়ছেন। যে দিল্লিতে দুমাস আগেও সাম্প্রদায়িক হিংসার বলি হয়েছে বহু মানুষ সেখানেই এখন সম্প্রীতির বাতাস বইছে। করোনা যেন সাম্প্রদায়িকতার পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে। আর তাই বোরখা পরা মুসলিম মহিলা মন্দিরে ঢুকলে স্বাগত জানাচ্ছেন খোদ পুরোহিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩২ বছর বয়সী ইমরানা সাইফি তিন সন্তানের মা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি সামনের সারিতে থেকে লড়ছেন। স্থানীয় আবাসিক কল্যাণ সংস্থার সরবরাহ করা জীবণুনাশক স্প্রে ট্যাঙ্ক কাঁধে নিয়ে তিনি যাচ্ছেন মন্দির, মসজিদ, গুরদুয়ারায়। পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখেছেন তিনি। তার মধ্যেও কর্তব্যে গাফিলতি দিচ্ছেন না। রোজ জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়াতে যাচ্ছেন মন্দির, মসজিদ ও গুরদোয়ারায়। আর প্রতিটি মন্দিরের পুরোহিত তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন। মন্দিরে ভেতরেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। উত্তর দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকার মন্দির, মসজিদ, গুরদোয়ারা জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা করছেন ইমরানা। আর তাঁর এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছে সবাই।


আরও পড়ুন— করোনার প্রতিষেধক হতে পারে গঙ্গাজলে! কেন্দ্রীয় প্রস্তাব খারিজ করল ICMR


পড়াশোনা বেশিদূর হয়নি ইমরানার। সপ্তম শ্রেণীর পর আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিচার—বুদ্ধিতে তিনি কোনও শিক্ষিত মানুষের থেকে কম নন। ফেব্রুয়ারিতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় দিল্লি আক্রান্ত হওয়ার পরও তিনি মাঠে নেমে কাজ করেছিলেন। এবারও সঙ্গে তিনজন মহিলাকে নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন। প্রতিদিন জাফরাবাদ, মুস্তফাবাদ, চান্দবাগ, নেহরু বিহার, শিব বিহার, বাবু নগর এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়াচ্ছেন। ইমরানার স্বামী নেয়ামত আলী পেশায় মিস্ত্রী।করোনা মহামারির সময়ে কাজ হারিয়েছে স্বামী। তাই সংসারের কাজকর্ম, তিন সন্তান দেখভালের পরও জীবাণুনাশক ছেটানোর কাজে নেমে পড়েছেন ইমরানা।