নিজস্ব প্রতিবেদন: মুজফফরপুর আবাসিক হোমে নাবালিকাদের উপরে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে একমঞ্চে বিরোধীরা। সমস্বরে দাবি উঠল, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক ফায়দা দেখে প্রতিবাদ করেন রাহুল, পাল্টা খোঁচা দিয়েছে জেডিইউ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিহারের আবাসিক হোমে নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ সভা করেছিলেন আরজেডি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আরজেডির প্রতিবাদ সভাতেই হাজির হন বিরোধী নেতারা। এমনকি তেজস্বীর পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে যান কংগ্রেস সভাপতি রাহু গান্ধীও। মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ দেখান তিনি। রাহুল গান্ধী বলেন, ''মুফফরপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যদজনক। নীতীশ কুমার লজ্জিত হলে নাবালিকাদের বিচারের ব্যবস্থা করুন। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করুন তিনি''। রাহুল আরও বলেন, ''আজ দেশের মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে আমরা একত্রিত হয়েছে এখানে''।



এদিন নাবালিকাদের পাশে দাঁড়াতে এক মিনিটের নীরবতা পালন করতে আবেদন করেন রাহুল গান্ধী। পরে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদও দেখান। 


উপলক্ষ, আবাসিক হোমে নাবালিকা নির্যাতনের প্রতিবাদ হলেও আদতে রাজনৈতিক ঐক্যের শক্তি প্রদর্শনে পরিণত হয়েছিল দিল্লির যন্তরমন্তর। রাহুল গান্ধী ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন সিপিআই নেতা ডি রাজা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী প্রমুখ।         
মুজফফরপুরকাণ্ডে নীতীশ কুমারকে নিশানা করছেন তেজস্বী যাদব। ইতিমধ্যেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নীতীশের ইস্তফার দাবিতে চাপ বাড়িয়েছেন তিনি।অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের দল থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে রাবড়ি দেবীকে পাল্টা চিঠি দিয়ে চাপ দিয়েছেন জেডিইউয়ের তিন মহিলা মুখপাত্র।    



বিরোধীদের ঐক্য নিয়ে জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর খোঁচা, রাজনৈতিক লাভ দেখে করে প্রতিবাদ করেন রাহুল ও কেজরিওয়াল। আর আরজেডি-কে লোকে জানে জঙ্গলরাজ ও অপরাধের জন্য। 


বিহারের মুজফফরনগরের আবাসিক হোমে নাবালিকাদের উপরে দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল শারীরিক নির্যাতন। তাদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হোমের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, আবাসিক হোমে বসবাসরত ৪২ জনের মধ্যে ৩৪ জনই যৌন হয়রানির শিকার।'সেবা সংকল্প এবং বিকাশ সমিতি' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান ব্রজেশ ঠাকুর আবাসিক হোমের মালিক। এই ঘটনায় তিনিই মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার এনিয়ে মুখ খোলেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, ''আমি লজ্জিত। এমন কঠোর শাস্তির বন্দোবস্ত করা হবে যাতে এই ধরনের অপরাধে লিপ্ত হওয়ার সাহস কেউ না পায়। পটনা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত চেয়েছি আমরা''। 


আরও পড়ুন- তৃণমূলের পাল্টা ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেড করতে অক্ষম রাজ্য বিজেপি