নিজস্ব প্রতিবেদন- বহুদিনের রীতি। কিন্তু এবার সেই রীতি হবে অতীত। নাগাল্যান্ডে এবার কুকুরের মাংস বিক্রি ও আমদানি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বহুদিন ধরেই নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস বিক্রি নিয়ে পশুপ্রেমীর সরব হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছিল না। স্থানীয় মানুষরা কুকুরের মাংস বিক্রি ও খাবার হিসাবে গ্রহণ পুরনো রীতি বলে দাবি করতেন। কিন্তু এবার নাগাল্যান্ডের সরকার কড়া পদক্ষেপ নিল। মার্চ মাসে নাগাল্যান্ডের প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পর থেকেই নাগাল্যান্ডের সরকারও একই পথে হাঁটারা পরিকল্পনা শুরু করেছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমাল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনের সদস্যরা নাগাল্যান্ডের সরকারের কাছে বারবার কুকুরের মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছিলেন। অবশেষে তাদের আন্দোলন সফল হল। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পশুবাজারে কুকুর মেরে ঝুলিয়ে রাখা হত। সেই দৃশ্য অত্যন্ত অমানবিক ও নৃশংস। এঈই প্রথা বন্ধের জন্য নাগাল্যান্ডে একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন বারবার সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছিল। এরই মধ্যে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়। জানা গিয়েছিল, চিনের উহানের পশুদের মাংস বিক্রি হওয়া বাজার থেকেই করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। চিনে এখন বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি বন্ধ। 


আরও পড়ুন-  পিছিয়ে গেল JEE এবং NEET, পরীক্ষার নয়া নির্ঘণ্ট জানাল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক


নাগাল্যান্ডের মুখ্যসচিব টেমজেন টয় জানিয়েছেন, তাঁদের রাজ্যে আর কুকুরের মাংস কাঁচা বা রান্না করা অবস্থায় বিক্রি করা যাবে না। কুকুরের মাংসের বাজারগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুকুরের মাংসের বাণিজ্যিক রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ডিমাপুরের বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হত কুকুরের মাংস। গোটা কুকুর বিক্রি হত প্রায় দুহাজার টাকায়। মরশুমভেদে দামের হেরফের হত। কিন্তু সেসব এখন অতীত। করোনা বদলে দিয়ে গেল বহু পুরনো রীতি।