জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  টানা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন নিজের যমজকে। বলা ভালো নিজের যমজের ভ্রুণকে। টানা ৩৬ বছর পর শরীরে একাধিক সমস্যা নিয়ে আসেন চিকিত্সকের কাছে। নাগপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় ভগতকে পরীক্ষা করে তাজ্জব চিকিত্সকেরা। তাঁর শরীরে রয়েছে একচি ভ্রুণ। চিকিত্সা পরিভাষায় একে বলে 'ফিটাস ইন ফেটু'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'আচ্ছে দিনের নমুনা নির্দশন কী'? পঞ্চায়েতের প্রচারে মোদীকে নিশানা অভিষেকের


কয়েক লক্ষ কেসের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন ঘটনা। সাধারণভাবে এই ধরনের কেসকে বলা হয় ভ্যানিসিং ট্যুইন সিনড্রোম। এক্ষেত্রে একজনের শরীরে বেড়ে অন্য একটি ভ্রুণ। ফলে অত্যন্ত বিরল এক সমস্যায় ভুগছিলেন সঞ্জয়। এক্ষেত্রে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন একটি ভ্রুণের মৃত্যু হয় এবং অন্য ভ্রুণটি রিঅ্যবজরবড হয়ে যায়। প্রতি ৫ লাখ গর্ভধারণে এমন একটি কেস দেখা যায়। 


জন্মের পর থেকেই সঞ্জয়ের পেটটি ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বড়। টানা কুড়ি বছর ওই বড় পেট নিয়েই তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর থেকে তার পেট অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়। অভাবী হওয়ায় এর কোনও চিকিত্সা করাতে পারেননি। পরিশ্রম করে সংসার চালাচ্ছিলেন। এরপর একসময় ওই বিশাল পেটে তার বুকে চাপ দিতে শুরু করে। ফলে শ্বাকসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সঞ্জয় ছোটেন চিকিত্সকের কাছে। 


প্রাথমিকভাবে চিকিত্সকেরা মনে করেছিলেন পেটে টিউমার হয়েছে এবং তা ক্যানসারও হতে পারে। অপারেশন করার জন্য তৈরি হয়ে যান চিকিত্সকেরা। কিন্তু তা করতে গিয়েই চিকিত্সকেরা দেখেন সঞ্জয়ের পেয়েছে রয়েছে একচি ভ্রুণ। প্রাথমিকভাবে কোনও যমজ শিশুর শরীরে যখন কোনও ভ্রুণ দেখা যায় তখন তাকে বলা হয় ফিটাস ইন ফেটু। ভ্রুণের একেবারে প্রথম দিকে একটি ভ্রুণ যখন অন্য একটিকে গিলে ফেলে তখন এই ধরেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর ওই গিলে ফেলা ভ্রুণটি বড় হতে থাকে অন্য ভ্রুণের শরীরে। তৈরি করে টিউমার। এরকম ক্ষেত্রে অপারেশন করে ওই অপরিণত ভ্রুণকে বের করে ফেলা হয়। বহুক্ষেত্রে এরকম ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ থাকে না। পরে বেশি বয়সে তা প্রকাশ পায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)