নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষকদের আটকাতে বাধা হল উঁচু কংক্রিট। ব্যথা দিতে রাস্তায় পোতা হল উল্টো পেরেক। সার সার দিয়ে দার করিয়ে দেওয়া হয়েছে বোল্ডার - ব্যরিকেড। যেন যুদ্ধর আগের মুহূর্ত!  দিল্লিমুখী রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ। কৃষকদের আটকাতে যেন দুর্গ বানিয়ে কেল্লার মধ্যে রয়েছে দিল্লি। কার্যত যেন দেশের সীমান্ত গড়ে তোলা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 আগেই সিঙ্ঘুতে বিদ্যুত্‍, জল ও ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে কড়া পদক্ষেপ সরকারের। এই আয়োজন কারণ, যেন কোনও ভাবেই কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকতে না পারে। 


প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার ৩ ঘণ্টার জন্য দেশের সব হাইওয়ে ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠন। যার পরেই বিরাট বাহিনী খাড়া করিয়েছে কেন্দ্র। গাজিপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, পেরেক রাস্তায় ছড়িয়ে কার্যত ঘেরাটোপ করে রেখেছে প্রশাসন।  


উল্লেখ্য, গণতন্ত্র দিবসে একটি ট্রাক্টর(Tractor Rally) মিছিলের আয়োজন করে আন্দোলনকারী কৃষকরা। পুলিসের নির্দিষ্ট রুটের বাইরে গিয়ে কৃষকরা ঢুকে পড়ে দিল্লির ভেতরে। দিল্লি পুলিসের সদর আইটিও, লালকেল্লায়(Red Fort) তাণ্ডব করে আন্দোলনকারীদের একাংশ। আইটিও এলাকায় পুলিসকে ট্রাক্টর নিয়ে তাড়া করে কৃষকরা। অন্যদিকে, লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে একদল কৃষক। সেখানে তারা কেল্লার গম্বুজে উঠে ধর্মীয় পতাকা টাঙিয়ে দেয়। এনিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন থেকে সরে যায় ২ কৃষক সংগঠন।


এদিকে, কৃষকদের ওই বিশৃঙ্খলার পরও আন্দোলন থেকে এ পা-ও পিছু হঠবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা(Farmers Protest)। তারা ফের গিয়ে জড়ো হয়েছেন দিল্লির একাধিক সীংমান্তে। শুধু তাই নয়, আন্দোলকারী কৃষকদের সমর্থন দিতে দিল্লি আসার কথা ঘোষণা করেছে শিরোমনি অকালি দল(SAD) ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন(BKU)। ফলে উত্তেজনা রয়েছে দিল্লি সীমান্তে।