জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সরকারি আমলা (Goverment Job) কে না হতে চায় ! প্রত্যেক বছর ভারতবর্ষে লাখ লাখ তরুণ তরুণী PCS (Provincial Civil Service) পরীক্ষা দেয় এই স্বপ্নপূরণের জন্য। তবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য লাগে কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, দৃঢ়তা, অধ্যবসায় ও মানসিক শক্তি। এই কঠিন পরীক্ষাতেই  সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে নজির গড়েছিল উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) যমজ বোন, যুক্তা মিশ্র এবং মুক্তা মিশ্র। দুই বোনের জন্ম, পড়াশোনা ও সাফল্য একসঙ্গে, একইসময়ে। এক বা দুই মিনিটের ব্যবধানে জন্ম হয় তাঁদের। চমোলির বাসিন্দা হেমা মিশ্র এবং কেডি মিশ্রের মেয়ে যুক্তা ও মুক্তা। তাঁরা পড়াশোনা করেছেন গোপেশ্বর, বেরেলি এবং সাহারানপুরে। পড়াশোনা চলাকালীনই তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যস্থির  করেন।বেরেলি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার সময়, তাঁরা দুজনেই ডাক সহকারী পদের জন্য পরীক্ষা দেন এবং এই পরীক্ষা পাস করে আলমোড়ার পোস্ট অফিসে চাকরি শুরু করেছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Crime News: ভয়ংকর! প্রেমিক পছন্দ নয়, ১ লক্ষ টাকায় মেয়েকে খুন করাল বাবা


জীবনের প্রত্যেকটি পর্যায়ে দুই বোন একে অপরকে সাহায্য করতেন। পড়াশোনাও তার ব্যতিক্রম ছিল না। আলমোড়ার সোবান সিং জিনা ক্যাম্পাসে তাঁরা প্রাইভেট টিউশনি নিতে শুরু করেছিলেন। পোস্ট অফিসের কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি তাঁরা চালিয়ে গেছিলেন এই পরীক্ষার প্রস্তুতি। আর এই কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল নজির গড়ে উত্তরাখণ্ড তথা সমগ্র ভারতের তরুণ-তরুণীদের জন্য। ২০১৪ সালে উত্তরাখণ্ড পিসিএস ফলাফল ঘোষণার পর জানা যায় উভয় বোন একসঙ্গে শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণই নয়, শীর্ষস্থান দখল করে। মহিলা বিভাগে মুক্তা প্রথম এবং যুক্তা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। সামগ্রিকভাবে পিসিএসে মুক্তা মিশ্র চতুর্থ স্থান এবং যুক্তা মিশ্র সপ্তম অর্জন করেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা SDM (Sub Divisional Magistrate) পদে যোগদান করেন। এই পদে যোগদান করার আগে যুক্তা ও মুক্তা পোস্টঅফিসে যথাক্রমে ট্রান্সপোর্ট ট্যাক্স অফিসার এবং পোস্টাল ইন্সপেক্টর হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। পিসিএস পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের পর যুক্তা এবং মুক্তা যথাক্রমে নরেন্দ্রনগর এবং উধমসিং নগরে এসডিএম হিসাবে যোগদান করেছিলেন।


যুক্তা ও মুক্তা, দুই বোনই তাঁদের সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁদের গাইড করুণা মিশ্র জোশীকে দেন। এই দুই বোন পাহাড়ের যোগ্য মহিলা অফিসার হিসেবে রোল মডেল। এমনকি তাঁরা তাঁদের কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল ও সৎ থাকার পাশাপাশি সামাজিক নানান কাজেও অবদান রেখেছেন। মুক্তা মিশ্র রুদ্রপ্রয়াগে এসডিএম হিসেবে যোগদান করার সময়ই দরিদ্র যুবক-যুবতীদের জন্য আশার অলো হয়ে আসেন। প্রশাসনিক ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও মুক্তা গরিব পড়ুয়াদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, নামী স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে কোচিং দিতেন। ২০১৮ সালে মুক্তা নিয়ম করে সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সরকারি ইন্টার্ন কলেজে কোচিং করাতেন।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)