নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের খুব কম প্রার্থী আমার মতো নিশ্চিত ছিলেন। এর একটা কারণ আপনাদের মতো কর্মকর্তা। বারাণসীতে বিজেপি কর্মকর্তাদের সভায় বললেন মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন তিনি বলেন-


যে শক্তি আপনারা দিয়েছেন তা সৌভাগ্য করে পাওয়া যায়। আপনারা নির্বাচনকে একটা উত্সব বানিয়ে ফেলেছিলেন। আপনাদের সন্তুষ্টিই আমার মন্ত্র।


এখানে একজন নরেন্দ্র মোদী মনোনয়ন দাখিল করেছিল কিন্তু আমি জানতাম এখানে গলিতে গলিতে নরেন্দ্র মোদী লড়াই করছে। আমি নিশ্চিন্ত ছিলাম।



কাশীর মানুষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ কারণ তারা নির্বাচনকে লড়াই বলে মনে করেনি। বরং একটি উত্সব হিসেবে নিয়েছেন।


৪০-৪৫ ডিগ্রি তাপে কর্মকর্তারা ঘরে ঘরে গিয়ে উত্সাহ দিয়েছেন। এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।


আজ আমি হয়তো কাশী থেকে বলছি কিন্তু গোটা উত্তরপ্রদেশ অনেক অনেক অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।


উত্তরপ্রদেশে ২০১৪, ২০১৭ ও ২০১৯ সালের নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক পণ্ডিতদের চোখ খুলে দিয়েছে। আর তা যদি না দেয় তাহলে বুঝতে হবে তারা বধির হয়েছে গিয়েছেন। তারা একুশ শতকের জন্য যোগ্য নয়।


এক ভোট বেশি পেলে কোনও প্রার্থী জয়ী হন। এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। ওই তিন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেও বলা যায় অঙ্কের বাইরে রয়েছে একটা রসায়ন।


আরও পড়ুন-সিবিআই দফতরে গরহাজির রাজীব কুমার


রাজনীতি একটা ভাবমূর্তি তৈরিরও বিষয়। এর জন্য কীভাবে এই ভাবমূর্তি খারাপ করে দেওয়া যায় তার চেষ্টা চলেছে।


কিন্তু গত পাঁচ বছরে আরও একটা জিনিস দেখা গিয়েছে তা হল ক্ষমতা ও সাফল্য। দুটোই বিজেপি দেখাতে পেরেছে।


সরকার নীতি তৈরি করে। দল রণনীতি তৈরি করে। এতে আমরা সফল।


সরকারের কাজ হল কাজ করা। আর এক্ষেত্রে যখন দলের কর্মকর্তারা যোগ দেন তখন আশ্চর্য জিনিস হয়।


সরকার শৌচালয় তৈরি করেছে, গ্যাস দিয়েছে। কিন্তু দল একটা বিশ্বাস তৈরি করতে পেরেছে, এই সবে শুরু। অনেক কিছুই এখন হবে।



দেশে এক সিলেকটিভ সংবেদনশীলতা চলছে।


আরও পড়ুন-শপথ নেওয়া আগে আচার মেনে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন মোদী, দেখুন ভিডিয়ো


দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের কর্মকর্তারা হিংসার শিকার। ত্রিপুরা, বাংলায় আমাদের কর্মকর্তাদের খুন করে ফেলা হয়েছে। আজও তাও হচ্ছে। শুধুমাত্র পৃথক কোনও রাজনৈতিক আদর্শের জন্য। এদের জন্য কোনও সংবেদনশীলতা দেখা যায় না।


দেশে এক রাজনৈতিক ছুঁতমার্গ তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সম্পর্কে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।


অনেক হয়েছে। এবার আসুন দেশ গড়ি। আমাদের ক্ষমতা সীমিত হতে পারে কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য মহত্।


ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি থেকে উপরে উঠে সবকা সাথ সবকা বিকাশ করার চেষ্টা করেছে বিজেপি।


দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যা করার তা করব। কোনও জাতি, কোন গোষ্ঠীর মানুষ তা দেখার প্রয়োজন নেই।


আমরা সেই মানুষ যারা দেশের গৌরবময় ঐতিহ্য নিয়ে এগিয়ে চলে।


এই দেশ আপনাদের তা ভাবতে শিখিয়েছে এই সরকার।


পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে এগতে চাই। আধুনিক ভাবনাকেও সঙ্গে নিয়ে চলি আমরা।


কাশীতে দীপাবলী উজ্জাপন করা যায় তা দেখিয়েছি। কে সেখানে তা করতে দেয়নি! কুম্ভমেলা করে এই মেলা সম্পর্কে ধারনাটাই বদলে দিয়েছে মোদী সরকার।