নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভার নির্বাচনের আগে নিজের উদ্যোগেই জয় কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডির প্রধান নবীন পট্টনায়েককে ফোন করে সমর্থন চান নমো। তাতে সম্মতি দিয়েছেন পট্টনায়েক। বৃহস্পতিবার বিজেডি-র ৯ সাংসদের সমর্থন পেতে চলেছে এনডিএ। বিজেডির ৯ সাংসদের ভোট রাজ্যসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। বিজেডির ভোট তাদের পক্ষে এলে ১২৩টি ভোট নিশ্চিত করবে কেন্দ্রের শাসক দল। অন্যদিকে বিরোধীদের থামতে হবে ১১০টি ভোটে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদী ও পট্টনায়েক ফোনালাপের কথা অবশ্য কোনওপক্ষই স্বীকার করেনি। বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার বিজেডি সুপ্রিমোকে ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নবীন পট্টনায়েক ও তাঁর প্রয়াত বাবা বিজু পট্টনায়েককে সম্মান করেন তিনি। সূত্রের খবর, চলতি মাসে এনিয়ে পট্টনায়েকের কাছে দ্বিতীয়বার ফোন গিয়েছে মোদীর। উল্লেখ্য, অনাস্থাপ্রস্তাবেও ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছিলেন বিজেডি সাংসদরা। তখনও মোদীর সঙ্গে কথার পরই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পট্টনায়েক।


রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ার নির্বাচনে জেডিইউ-র বি কে হরিবংশকে প্রার্থী করেছে এনডিএ। জেডিইউ-কে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদ দিয়ে ২০১৯ সালের জোট নিশ্চিত করতে চাইছেন মোদী-শাহ। ইতিমধ্যেই হরিবংশের জন্য সমর্থন চেয়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে ফোন করেছেন নীতীশ কুমার। 


 অনাস্থাপ্রস্তাবের পর রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যানের নির্বাচন নিয়ে জমে উঠেছে এনডিএ ও মহাজোটের লড়াই। বুধবার ওই পদে বি কে হরিপ্রসাদের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তার আগে জল্পনা রটেছিল, এনসিপি প্রার্থী বন্দনা চহ্বান সম্ভাব্য প্রার্থী হতে চলেছেন। তাঁর নাম নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বসপা নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্র ও তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। তবে শেষপর্যন্ত ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে হরিপ্রসাদের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। কংগ্রেস প্রার্থীর পাশে রয়েছে বিরোধী শিবির। 


রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু বিজেপির। লোকসভার মতো শক্তি তাদের নেই। ফলে রাজ্যসভায় শরিকদের সঙ্গ না পেলে হার অবশ্যম্ভাবী। বিরোধী শিবিরের দাবি, এনডিএ সাংসদদের কয়েকজনের সমর্থন তারা পেতে পারে। অনাস্থা ভোটের আগে কক্ষত্যাগ করেছিল শিবসেনা। ইদানীং দুই শরিকের মধ্যে বিবাদ চলছে। ইতিমধ্যেই লোকসভায় আলাদা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। ওদিকে আবার পঞ্জাবের শরিক শিরোমনি অকালি দলও প্রার্থী নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছে। তাদের সাংসদ নরেশ গুজরালের নাম প্রস্তাব করেছিল অকালি। তবে এটাও অনস্বীকার্য, অকালির পক্ষে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়া কোনওমতেই সম্ভব নয়।


আরও পড়ুন- বিদায়বেলার 'কথা' ৩০ বছর আগেই লিখেছিলেন করুণানিধি