শত্রুর উপরে নজর `চৌকিদার` মোদীর, বন্ধুর পাশে রাহুল গান্ধী
চাণক্যের নীতি নরেন্দ্র মোদীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'চৌকিদার' মোদী ফলো করছেন রাহুল গান্ধীকে! শুধু কংগ্রেস সভাপতিই নন কংগ্রেসের এক ডজন নেতা এখন মোদীর নজরে। ২০১৯ এর ভোট যত এগোচ্ছে, বিরোধী টুইটারে নজরদারি বাড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই লড়াইয়ে, রাহুল মোদীকে পাত্তা দিতে নারাজ রাহুল।
শত্রু পক্ষের ওপর চূড়ান্ত আক্রমণের আগে শত্রু শিবিরকে ভাল করে চিনতে হবে। চন্দ্রগুপ্তকে শিখিয়েছিলেন চাণক্য। নন্দবংশ ধ্বংস করা সেই রাজগুরুর পথেই এবার শত্রুশিবির অধ্যয়ন করা শুরু করছেন নরেন্দ্র মোদী।
রাজনীতির গোলাবারুদ এখন আর শুধু প্রেস কনফারেন্স বা বুম ধরা বাইটে সীমাবদ্ধ নেই। নেতারা ব্যবহার করছেন টুইটার হ্যান্ডল। হাতের পেলব ছোঁয়ায় প্রতি মুহূর্তে একে অপরের বিরুদ্ধে বোমা ফাটাচ্ছে শাসক-বিরোধী দুপক্ষ। আইটি সেলের এই লড়াইয়ে আতসকাচ লাগিয়ে বসে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর আতসকাচে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, আহমেদ প্যাটেল, দিগ্বিজয় সিং প্রমুখ। টুইটারে ১ হাজার ৯৪৫ জনকে ফলো করেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে ১২ জনই কংগ্রেস নেতা। তালিকার প্রথমেই রাহুল গান্ধীর নাম।
টুইটারে মোদী ফলো করেন তাঁর কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে। সোনিয়া গান্ধীর খাস আদমি, তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ প্যাটেলের ওপরও টুইটারে মোদীর শ্যেন দৃষ্টি।জাতীয় রাজনীতিতে ইদানীং তিনি পিছনের সারিতে। তবু মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান দিগ্বিজয় সিংকে ফলো করছেন মোদী। এমনকি সদ্য পাকিস্তান গিয়ে বিতর্কে জড়ানো নভজ্যোত সিং সিধুকেও নজরে রেখেছেন মোদী। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সিধু টুইটারে কী করছেন, নিয়মিত ফলো করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিপক্ষ শিবিরে আর কাদের ফলো করছেন মোদী?
এই তালিকায় রয়েছেন, অজয় মাকেন, রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অভিষেক মনু সিংভি, সিপি জোশী, পৃথ্বীরাজ চৌহ্বাণের মতো কংগ্রেস নেতারা। এই সব কংগ্রেস নেতাদের বেশিরভাগই দলের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেন। শাসক দলের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ মূলত তাঁরাই শানান।
মোদী তাঁকে টুইটারে ফলো করলেও রাহুল পাত্তা দিতে নারাজ। টুইটারে ১৮৫ জনকে ফলো করেন রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী সেই তালিকায় নেই। রাহুল ফলো করেন, শরদ পওয়ার, অখিলেশ যাদব, লালু প্রসাদ, তেজস্বী যাদব, শরদ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম. কে স্ট্যালিনের মতো নেতাদের। তাঁদের নিয়েই আসন্ন লোকসভা ভোটে মহাজোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি। আর শত্রুর ঘরের খবর? সেটা জানতে রাহুলের পছন্দ বিজেপির বিভীষণ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। একজন বিরোধী শিবিরকে চরম গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর একজন শাসকপক্ষকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। এই দুইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক পরিপক্কতা কার বেশি? উত্তর দেবে ২০১৯।
আরও পড়ুন- এশিয়ান গেমসের সপ্তম দিনে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্য দেখে নিন