নিজস্ব প্রতিবেদন: পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। পাল্লা দিয়ে ডলারের নিরিখে অবমূল্যায়ন হচ্ছে টাকার। ২০১৯ সালের আগে জনমানসে যে বিরূপ ছবি তৈরি হচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেই তাই আসরে নামছেন নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতির পর্যালোচনায় শুক্রবার থেকে বৈঠকে বসেছেন তিনি। শনিবারও চলবে বৈঠক।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি সূত্র উদ্ধৃত করে পিটিআইয়ের প্রতিবেদন দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, নীতি আয়োগের সহ-সভাপতি রাজীব কুমার, বিবেক দেবরয়স আরবিআই গভর্নর উর্জিত পটেল ও অর্থসচিব হাসমুখ আঁধিয়া। 


বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। তবে কীভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দামে রাশ টানা যায়, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কথা উঠেছে। কেন্দ্রের নানা সামাজিক প্রকল্পের রূপায়ন নিয়েও কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আর্থিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।   


বৈঠকের প্রেক্ষাপট মোদীর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৯১। ২০১৮ সালের শুরু থেকে টাকার মূল্য অবমূল্যায়ন হয়েছে ১২.৩ শতাংশ।     


দিল্লিতে পেট্রোল বিকোচ্ছে ৮১.২৮ টাকায় ও লিটার পিছু ডিজেলের দর ৭৩.৩০ টাকা। মুম্বইয়ে পেট্রোলের দর লিটারে ৮৮.৬৭ টাকা ও চেন্নাইয়ে ৮৪.৪৯ টাকা ও কলকাতায় ৮৩.১৪ টাকা। মুম্বই, চেন্নাই ও কলকাতায় ডিজেলের দর যথাক্রমে ৭৭.৮২, ৭৭.৪৯ ও ৭৫.৩৬ টাকা। করের হার কম থাকায় দিল্লিতে পেট্রোল-ডিজেল সবচেয়ে সস্তা। ভ্যাটের হার সবচেয়ে বেশি মুম্বইয়ে। টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারের অপরিশোধিত তেলের দামবৃদ্ধি প্রভাবে তেলের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজছে না। ২০১৪ সালেও পেট্রোল-ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দর নিয়ে তত্কালীন কংগ্রেস সরকারকে বিঁধেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এখন তাঁর মেয়াদের শেষেও গলায় কাঁটা হয়ে উঠেছে সেই পেট্রোল-ডিজেলে। তড়ঘড়ি বৈঠকে কী সমাধানসূত্র বের করতে পারবেন নরেন্দ্র মোদী? আশায় দেশবাসী।  


আরও পড়ুন- Exclusive: বঙ্গের নেতাদের উপরে ভরসা নেই? রাজ্যে আসছে অমিত-বাহিনী