নিজস্ব প্রতিবেদন: শিল্পপতিদের সঙ্গে মোদীর নিকট সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রায়ই খোঁচা দেন রাহুল গান্ধী। সেই কটাক্ষের জবাব দিতে  রবিবার উত্তরপ্রদেশের শিল্প সম্মেলনের মঞ্চকে বেছে নিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, 'চোর-লুটেরা' বলে শিল্পপতিদের অপমানিত করে কংগ্রেস। এদিন লখনৌয়ে উত্তরপ্রদেশের ২৪টি জেলায় ৮১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ৮১টি প্রকল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই বিশাল টাকার বিনিয়োগ অভাবনীয় বলে মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রশংসা করেছেন যোগী সরকারের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পিএনবি কেলেঙ্কারির সামনে আসার পর  নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ছবি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিরোধীরা। এদিন মোদী বলেন,''উদ্দেশ্য স্বচ্ছ হলে সুফল মেলেই।শিল্পপতিদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ভয় পাই না। কিন্তু অনেক লোকই আছে, যাঁদের পর্দার পিছনে শিল্পপতিদের সঙ্গে দেখা যায়। প্রকাশ্যে একটাও ছবি পাবেন না। কিন্তু এমন শিল্পপতি নেই, যিনি ওদের বাড়িতে আনাগোনা করেন না।'' 



নরেন্দ্র মোদী মনে করিয়ে দেন, দেশের উন্নতির জন্য দরকার বিনিয়োগকারীদের। তাঁদের সমৃদ্ধির উপরে নির্ভর করছে দেশের লক্ষাধিক যুবকের স্বপ্ন। লখনৌয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন অমর সিংও। তাঁর উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদী বলেন, অমর সিংয়ের কাছে সব তথ্য রয়েছে। উনি ওদের (কংগ্রেস নেতৃত্ব) মুখোশ খুলে দেবেন। 


মোদী আরও বলেন, ''মহাত্মা গান্ধী নিজের উদ্দেশ্য নিয়ে সত্ ছিলেন। বিড়লাজির পাশে থাকতে কখনও দ্বিধায় ভোগেননি তিনি। দেশের উন্নয়নে যোগদান করেছেন কৃষক, ব্যাঙার ও সরকারি কর্মচারীরা। ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শিল্পপতিদেরও। তাঁদের কি চোর-লুটেরা বলে অপমানিত করা উচিত?'' 


একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, অসত্ শিল্পপতিদের পাশে নেই তিনি। তাঁর কথায়, ''যে সব শিল্পপতিরা অসত্ পথে চলবেন, তাঁদের হয় দেশ ছাড়তে হবে নয়তো গারদে যাবে। এটাও আগে হয়নি। কাদের বিমানে ওরা যাতায়াত করে, তা জানেন মানুষ''। 


ফেব্রুয়ারিতে শিল্প সম্মেলন করার পর ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আনতে পেরেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই প্রসঙ্গ তুলে যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ''এটা মোটেও ছোটখাট বিনিয়োগ নয়। এটা বিশাল অর্থ। যা কল্পনাতীত। ৫ মাসে ৬০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ টেনে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সরকার। এটা 'রেকর্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠান' বলা উচিত। উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ টানা চ্যালেঞ্জের কাজ ছিল। যোগী আদিত্যনাথ চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করেছেন। শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি তৈরি করে উন্নয়নকে তরাণ্বিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী''।        


আরও পড়ুন- ১৯ বছর পর শ্রাবণে সৌভাগ্যের যোগ, পড়বে ৫টি সোমবার