ওয়েব ডেস্ক : ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলে নরেন্দ্র মোদী। সেই সল্প সময়ের ভাষণেই গোটা দেশে আলোড়ন তৈরি করে দিয়েছিলেন। কঠোর সিদ্ধান্তে ওই দিন রাত ১২টা থেকেই দেশজুড়ে বাতিল করে দেন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। এক কথায় কালো টাকার ওপর 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' আনতেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি অর্থনীতির বিশ্লেষকদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতারাতি গোটা দেশে এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। RBI-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বরে মধ্যে সেই পুরনো নোট বদল করে পাওয়া যাবে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট।


এদিকে, এই ঘোষণার পর থেকেই শহরে শহরে ব্যাঙ্ক ও ATM-এর বাইরে দেখা দিয়েছে লম্বা লাইন। টাকা বদল ও টাকা তোলার লাইন। কর্যত বিপাকেই পড়েছেন মোদীর 'আম আদমি'। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। তাঁর জমানাকে তুঘলকি রাজ বলেও দাবি করেন বহু নেতা। এদিকে, এরই মাঝে তিনি চলে যান জাপান সফরে। বেশ কয়েকটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয় সেখানে। কিন্তু, সেখানেও যেন তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল ভারতের এই সমস্যা।


আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদীর জাপান সফর নিয়ে যা বলল চিন!


অবশেষে দেশে ফিরে আজ গোয়াতে বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী কার্যত বিরোধীদেরই এই বিষয়ে আক্রমণ করেন। বলেন, ''আমি দেশের জন্য নিজের বাড়ি ছেড়েছি। তাই ভয় আমি পাই না। আমাকে ৫০ দিন সময় দিন, তারপর যদি আমার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ হয় তবে জনতা যা রায় দেবে আমি মাথা পেতে নেব।''


প্রধানমন্ত্রী বলেন, "টাকা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত রাতারাতি নেওয়া হয়নি। গত ১০ মাস ধরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাই সেখানে কোনও হঠকারিতা নেই।" অন্যদিকে আজ নাম না করেই কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি। নোটকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করতে গিয়ে মোদী বলেন, "কাল যারা 2G বা কয়লা কেলেঙ্কারির মত ঘটনা ঘটিয়েছেন, আজ তাঁরাই লাইলে দাড়িয়ে ৪০০০ টাকা তুলছেন।"