নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল বিমান চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগকে 'বালখিল্য' আখ্যা দিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ''এত বছর দেশ শাসন করেও দায়িত্বজ্ঞান নেই তাদের। কোনও প্রমাণ ছাড়াই চেঁচামেচি করছে তারা। পরিস্থিতি এমন যে অন্য দেশ প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে''।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, ''রাফাল চুক্তি কোনও ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে করা হয়নি। এই সমঝোতা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দেশের জনতা সব জানেন।'' দীর্ঘবছর কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার পরেও প্রমাণ ছাড়াই দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ''কোনও প্রমাণ ছাড়াই চেঁচামেচি করছেন। জনতা আপনাকে জবাব দিচ্ছে। এখনও শোধরানোর সুযোগ আছে। দেশের নিরাপত্তা ও সংবেদনশীল বিষয়ে শিশুসুলভ মন্তব্য না করার আর্জি করছি আমি। আপনি তো নামদার, তাই প্রার্থনা করছি।''  


সেনাপ্রধানকে 'সীমান্তের গুন্ডা' বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ''সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে কি ভাষার প্রয়োগ করা হচ্ছে! এটা করা কি উচিত? দেশহিতের কাজ করছেন যাঁরা, তাঁদের মনে আঘাত লেগেছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে জুমলা স্ট্রাইক বলছেন। এই দেশ ক্ষমা করবে না। গালি আমাকে দিন, দেশের সেনাবাহিনীকে দেবেন না।'' 



কংগ্রেস সভাপতি এদিন নিজের ভাষণে বলেন, ''ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুল মাঁকর আমাকে বলেছেন, বিমান ক্রয়ের চুক্তিতে গোপনীয়তার শর্ত নেই।'' রাহুলের ভাষণের ঘণ্টাখানেক পরই ফ্রান্সের ইউরোপ ও বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়,'২০০৮ সালে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করে ফ্রান্স ও ভারত। তার জেরে আইনত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর দুই অংশীদার দেশ। তথ্য প্রকাশ্যে আসলে ভারত অথবা ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহারিক দক্ষতা ও নিরাপত্তার উপরে প্রভাব পড়তে পারে। ২০১৬ সালে ২৩ সেপ্টেম্বরে ২৬ রাফাল বিমান কেনার চুক্তিতেও স্বাভাবিকভাবেই এই শর্ত রয়েছে।'




ফরাসী সরকারের বিবৃতির পরও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, আনন্দ শর্মা, মনমোহন সিংয়ের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ওই কথা বলেছিলেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট মাঁকর। 



আরও পড়ুন- সুভাষ, প্রণবকে টেনে রাহুলের 'চোখে চোখ' মোদীর