নিজস্ব প্রতিবেদন: অনাস্থা ভোটে বিপুল জয়ের পর প্রথম সভায় উত্তরপ্রদেশের শাহজাহাঁপুরে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার শাহজাহাঁপুরে 'কৃষক কল্যাণ র্যালি'-তে নাম না করে রাজীব গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, 'আমাদের দেশের এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দিল্লি থেকে কারও জন্য ১ টাকা পাঠালে তাঁর কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছয়। মাঝে কে ছিল যে টাকা ঘসে ঘসে ১ টাকাকে ১৫ পয়সা বানাচ্ছিল।' একই রকমভাবে নাম না করে রাহুলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'অনাস্থা প্রস্তাবের কারণ কি? আমাদের এই প্রশ্নের জবাব তো দিতে না পেরে গলায় জড়িয়ে ধরল'। বলে রাখি, শুক্রবারের অনাস্থা বিতর্কে বিরোধী শিবিরের প্রধান বক্তা ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণের পর লোকসভার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন রাহুল গান্ধী। 



এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, 'যত দল একজোট হবে তত দলদল (পাঁক) তৈরি হবে। আর পাঁকে যে পদ্ম ভাল ফোটে সে তো আপনারা সবাই জানেন। অহঙ্কার, দম্ভ আর দমনের প্রথা আজকের ভারতের যুবারা মেনে নেবে না। সাইকেল হোক বা হাতি, যেই হোক সাথি। স্বার্থসিদ্ধির এই ফরমুলা দেশবাসী বুঝে গিয়েছে। আপনারা জানেন কুর্সিতে বসার জন্য তারা কেমন দৌড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়া তারা অন্য কিছু দেখতে পায় না। ওরা না কৃষকদের দেখতে পায় না জনতাকে।'



এদিন মোদী বলেন, 'আমি কি কোনও ভুল করেছি? কোন ভুল পথে চলেছি? আমার অপরাধ আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি, আমি পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছি। কয়েকটা দল বলে তাদের মোদীর ওপর ভরসা নেই। আমরা তাদের বুঝিয়েছিলাম এই (অনাস্থা) খেলাটা খেলা ঠিক হবে না। মোদী কোনও ব্যাপার নয়। আসল কথা হল এটা ১২৫ কোটি দেশবাসীর শক্তি।' 


শুধু লোকসভা নয় ও ১২৫ কোটি দেশবাসীর সমর্থন রয়েছে NDA-র সঙ্গে: মোদী


শুক্রবার লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। তেলুগু দেশম পার্টির আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ১২ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর ভোটাভুটি হলে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিরোধী শিবির। ৩২৫ - ১২৬ ফলে প্রস্তাব খারি হয়ে যায় লোকসভায়। তার পর শনিবার উত্তর প্রদেশে ছিল মোদীর প্রথম সভা। সেই সভা থেকে মোদী বুঝিয়ে দিলেন অনাস
্থা এনে টলানো যাবে না তাঁর প্রত্যয়।