নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৬ মে, ২০১৪। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২৩ মে, ২০১৯। লোকসভা নির্বাচনের ফল জানিয়ে দিয়েছে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন মোদী। তার ঠিক তিনদিন পর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানানো হল, আগামী ৩০ মে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী।


আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে ইমরানের ফোন, সন্ত্রাস দমনের কড়া বার্তা মোদীর


কাকতালীয় ভাবে রবিবার ২৬ মে, ২০১৯। পাঁচ বছর আগে এ দিনই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মোদী।


রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এক বিবৃতি মোদী সরকারের দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইটও করা হয়। তাতে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন।


আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার শেষযাত্রায় মরদেহ কাঁধে হাঁটলেন স্মৃতি, দেখুন ভিডিয়ো


শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী। সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি। তার পর রাষ্ট্রপতি তাঁকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে শপথগ্রহণের সময় ও তারিখ নির্ধারণের ভার মোদীর উপর ছেড়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে এনডিএ। বিজেপিও ২০১৪-র মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে বিজেপি। এনডিএ ও বিজেপি ২০১৪-র থেকেও বেশি আসন পেয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব পাস করেন। পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সেই প্রস্তাব জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবি নিয়ে মোদীর কাছে হাজির জগন রেড্ডি


শনিবার দিনভর রাজধানী নতুন সরকারের গঠনের তত্পরতা চোখে পড়েছে। বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদীকে দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। পরে সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ-র বৈঠকেও নরেন্দ্র মোদী জোটের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।


এর পর এনডিএর শরিক দলের নেতারা গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব সরকার গঠনের সমর্থন পত্র দেন। মোদী গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানান। রাষ্ট্রপতির অনুমতির বিষয়টিও নরেন্দ্র মোদী সাংবাদিকদের জানান।