ভারতের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান, কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা বার্তা মোদীর
ভারতীয় মায়ের কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে হোয়াইট ‘হাউসে’, ইতিহাস রচনা করলেন কমলা হ্যারিস ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কমলা হ্যারিসের শরীরে ভারতের ধমনি। মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে এখন কমলা দেবী হ্যারিস। নাড়ির টানকে আরও মজবুত করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার ভাইস-প্রেসিডেন্টের মসনদে শপথ গ্রহণের পরই টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরেন্দ্রমোদী। কমলা হ্যারিস আমেরিকার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিন মহাদেশের ধমনি তাঁর শরীরে- আফ্রিকা আমেরিকা এবং এশিয়া। ভারতীয় মায়ের কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে হোয়াইট ‘হাউসে’, ইতিহাস রচনা করলেন কমলা হ্যারিস ।
টুইটবার্তায় ভারতীয় কমলা হ্যারিসকে তিনি লেখেন, ‘মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের জন্য কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন। এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে মুখিয়ে আছি। আমাদের দুনিয়ার পক্ষে পুষ্টিকর হবে ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।’
১৯৬২ সাল, বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাইকার বাসিন্দা পিএইডি ছাত্র ডোনাল্ড হ্যারিসের প্রেমে পরেন ভারতীয় তরুণী, শ্যামলা গোপালন। দুই ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পড়তে গিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে।দু’জনের ধ্যানধারণা-ভাবনা তখন একই পথের। কলেজ প্রাঙ্গনে বিভাজন নিয়ে বক্তৃতা রাখতেন ডোনাল্ড হ্যারিস। যা শুনতে পছন্দ করতেন শ্যামলা।তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান শ্যামলা। লেডি আরউইন কলেজ থেকে পাস করে হোম সায়েন্স নিয়ে পড়তে শ্যামলা পড়তে যান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।বিয়ে করলেন হ্যারিস এবং শ্যামলা। ১৯৬৪ সালে জন্ম নেন তাঁদের প্রথম সন্তান কমলা। তাঁর বোন মায়া লক্ষ্মী।অ্যাফ্রো-আমেরিকান সংস্কৃতির পাশপাশি ভারতীয় সংস্কৃতিতে বড় হয়ে ওঠেন কমলা। আইনের ছাত্রী ছিলেন কমলা। হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন।২০০৩ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ২০১৬ সালে অবশ্য প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা সেনেটর হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়া থেকেই নির্বাচিত হন কমলা হ্যরিস। এখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ইউনাইটেড স্টেট।