নিজস্ব প্রতিবেদন: শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম বন্যায় বিপর্যস্ত কেরল। প্লাবনে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫০-রও বেশি মানুষের। নিখোঁজ বহু। কেরলের বন্যায় খোঁজ মিলছে না পশ্চিমবঙ্গেরও বহু মানুষের। সাত দিন টানা বর্ষণে থইথই সেরাজ্যের বাঁধগুলি। বাঁধ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তা ঘাট। ধসের জেরে বাড়ি ভেঙে গৃহহারা হয়েছেন বহু। এরই মধ্যে উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু কেন বন্যার এই ভয়াবহতা। স্পষ্ট কল নাসার প্রকাশিত একটি অ্যানিমেশন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দাক্ষিণাত্যের শেষ প্রান্ত কেরলে বরাবরই বর্ষা ঢোকে তাড়াতাড়ি। তাই বৃষ্টি নতুন কিছু নয় মালয়লিদের কাছে। কখনো নিম্নচাপের ফলে বর্ষণের পরিমান বাড়ে তাই বলে এমন ধারাপাত স্মরণাতীত কালে দেখেনি কেরল। বুধবার কেরলে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের একটি অ্যানিমেশন প্রকাশ করেছে নাসা। অ্যানিমেশনে ১৩ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত কেরলে বর্ষণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে। 


ভুয়ো খবরে জেরবার বন্যা বিধ্বস্ত কেরল!


অ্যানিমেশনে দেখা যাচ্ছে, ১৩  অগাস্ট কর্নাটক কেরল সীমান্ত এলাকায় প্রথমে বর্ষণ শুরু হয়। এর পর ধীরে ধীরে বর্ষণের পরিমান বাড়তে থাকে দক্ষিণের দিকেও। এর পর টানা কয়েকদিনে কেরলের উত্তর থেকে নীলগিরি পর্বতমালা পর্যন্ত নাগাড়ে বৃষ্টি হয়। 




আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে,বছরের এই সময় স্বাভাবিক ভাবে কেরলে সপ্তাহে ৫ ইঞ্চি বর্ষণ হয়। সর্বোচ্চ ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে এই সময়। সেখানে গত ১৩ - ২০ অগাস্টের মধ্যে ১৮.৫ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে কেরলে। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেরলের বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। উত্তর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাস্প টেনে নিয়ে পশ্চিমের উপকূল লাগোয়া এলাকায় বৃষ্টিপাত ঘটায়। 


নাসা ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি গ্লোবাল পেসিপিটেশন মেজারমেন্ট উপগ্রহের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে বানানো হয়েছে এই অ্যানিমেশন।