নিজস্ব প্রতিবেদন: বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং রাস্তায় অভব্য আচরণের জন্য এবার অপেক্ষাকৃত কড়া শাস্তি পেতে পারেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা নভজোত সিং সিধু। ২০ বছর আগের এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বর্তমানে পঞ্জাবের মন্ত্রী সিধুকে মাস চারেক আগে এ জন্য মাত্র এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু যে সুপ্রিম কোর্ট একদা মনে করছিল সিধুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণাভাব রয়েছে, তারাই এখন সোনিস দিয়ে সিধুর থেকে জানতে চাইছে, কেন তাঁকে অধিকতর কড়া শাস্তি দেওয়া হবে না?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় এবং এরপরই এই নোটিস জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। মে মাসে বিচারপতি জে চেলামেশ্বর (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার বিচার হয়। সে সময় সিধুকে কেবল জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে রাজনীতিক সিধুর রাজনৈতিক জীবন আশঙ্কার মুখোমুখি হয়নি। কারণ দেশের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় ২ বছরের কম সাজা হলে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে বাধা নেই।


ঠিক কী ঘটেছিল কুড়ি বছর আগে?


২৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৮। পঞ্জাবের পাটিয়ালায় গাড়ি রাখা নিয়ে সিধু ও তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিং সান্ধুর সঙ্গে গুরনাম সিং-এর বচসা বাধে। অভিযোগ, সিধু ও তাঁর বন্ধু এরপরই গুরনামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় গুরনাম সিং-এর। আরও পড়ুন- দেশ ছাড়ার আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে সাক্ষাত্ করছিলেন মালিয়া! বিস্ফোরক দাবি লিকার ব্যারনের


এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে মুক্তি পেয়ে যান সিধু। কিন্তু, ২০০৬ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিধুকে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপরই ২০০৭ সালে সিধু ও তাঁর বন্ধু সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় এবং জামিন মঞ্জুর করে। আর এই স্থগিতাদেশের জেরেই অমৃতসর থেকে সিধুর ভোটে লড়ায় আর কোনও বাধা থাকে না। এরপর চলতি বছরের গোড়ার দিকে বিচারপতি চেলামেশ্বর ও বিচারপতি কাউলের বেঞ্চ সিধু ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণাভাবের কারণ দেখিয়ে তাঁদের কেবল এক হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। এরপরই গুরনাম সিং-এর পরিবার 'প্রকৃত বিচারের আশায়' শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি সঞ্জয় কাউলের ডিভিশন বেঞ্চ নোটিস জারি করে সিধুর থেকে জানতে চায়, কেন তাঁকে আরও কড়া শাস্তি দেওয়া হবে না?