নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম আলিঙ্গনে যতটা না বিতর্ক গড়ায়, দ্বিতীয় আলিঙ্গনে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটে। পাক জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে ‘অতিথি’ নভজোত্ সিং সিধুর আলিঙ্গন নিয়ে কংগ্রেসকে তুলোধনা শুরু করেছে বিজেপি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথ নেওয়ার দিন প্রথম সারিতে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র ভারতীয় অতিথি নভজোত সিং সিধু। ‘ভারতের প্রতিনিধি’ হয়ে এসেছেন বলে দাবি করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। যদিও ‘সৌজন্য’ দেখাতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সিধু বলেন, “ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ইতিবাচক পথে এগোবে।” পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশংসা করে তিনি। সিধুর দাবি “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী ইমরান।” পাক নির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়ার পর ইমরান জানিয়েছিলেন, ভারত এক পা এগোলে, দু’পা এগোবে পাকিস্তান। এ দিনই তিনি স্পষ্ট করেছিলেন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনায় এগোতে চান। তবে, কাশ্মীর নিয়ে ধোঁয়াশায় রাখেন ইমরান।



আরও পড়ুন- কংগ্রেসে ফিরছেন ‘বহিষ্কৃত’ মণি


শপথ গ্রহণের পর শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে ইমরান খানের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন সিধু। কিন্তু বিতর্কটা শুরু হয় একটু পরেই, যখন পাক জেনারেল জাভেদ বাজওয়া এগিয়ে আসেন ভারতের ‘অতিথির’ কাছে। তাঁর সঙ্গেও আলিঙ্গন করেন সিধু। সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন মেনে নিলেও একজন পাক সামরিক বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন মেনে নিচ্ছেন না সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। খড়গহস্ত হয়েছেন বিজেপি নেতারাও।


আরও পড়ুন- এতদিনে পুলিসের জালে রাজধানীর কুখ্যাত মহিলা ডন ‘মাম্মি’


আলিঙ্গন করার সময় সিধুকে কী বলেছিলেন জাভেদ বাজোয়া?


সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিধু জানান, জাভেদ নিজেকে জেনারেল পরিচয় দিয়ে বলেন এক জন ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। দুই দেশের মধ্যে শান্তি চেয়েছেন পাক সেনা প্রধান। তবে, পাকিস্তানের কারতারপুরে গুরুদ্বার করিডর পুনরায় খোলা বিষয়ে জাভেদের সঙ্গে আলোচনা হয় এই কংগ্রেস নেতার। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কারতারপুরে গুরুদ্বার দরবার সাহেব করিডর খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাভেদ। কথিত আছে, এখানেই শেষ জীবনটা কাটিয়েছেন গুরুনানক। সিধু বলেন, “সেই স্বপ্ন সত্যিই হতে চলেছে।”


আরও পড়ুন- স্কুল পাঠ্যে 'মিলখা' ফারহান, শিক্ষামন্ত্রীকে ভুল শোধরানোর অনুরোধ অভিনেতার


বিজেপির সমালোচনাকে একহাত নেন নভজোত্ সিং সিধু। পাকিস্তানে যাওয়ার পিছনে সিধু যুক্তি দেন, “ইতিবাচক ভাবতে ভালবাসি। নীল সমুদ্রে সাঁতার কাটাতে চাই, যেখানে সবার জন্য জায়গা থাকবে। কিন্তু দেখছি এখানে পুরোটাই লাল সমুদ্র।” বেদ উদ্ধৃত করেও যুক্তি খাঁড়া করেন তিনি। এমনকি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাত্ গোটা বিশ্ব আমার পরিবার, এই ভাবনায় তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সিধু। উল্লেখ্য, ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন 'বন্ধু' কপিল দেব এবং সুনীল গাওস্কর। তবে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করে বিতর্ক এড়িয়েছেন তাঁরা।