নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রে এক দিনের সরকার চালিয়ে ছিলেন ‘নায়ক’ সিনেমার শিবাজি রাও ওরফে অনিল কাপুর। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ বছর সরকার চালিয়ে ফেলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এবারও হাতে আরও ৫টা বছর তুলে দিলেন দিল্লিবাসী। তাই রামলীলা ময়দানে কেজরীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পোস্টার দেখা যাচ্ছে, “কেজরীবাল নায়ক ২”।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হঠাত্ ‘নায়ক’ সিনেমার শিবাজি রাওয়ের সঙ্গে কেজরীবালের তুলনা কেন? ভক্তরা বলছেন, সিনেমার শিবাজি এবং বাস্তবে কেজরীর উত্থান কার্যত একই পথে। দু’জনেই একসময় ছিলেন মামুলি আদমি। একজন সাংবাদিক, সরকারের কাজকর্মের অসঙ্গতি তুলে রাতারাতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠেন। তেমনই আমলা কেজরীবালও রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী হন সরকারের বিরোধিতা করেই।


সত্তরের মধ্যে ৬২টি আসনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে বসছে আপ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির বিধায়ক ও সাংসদরা ছাড়া শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাক পাননি তেমন বড় কোনও নেতা-মন্ত্রী। বরং ‘আম আদমি’ হয়েও দিল্লি গড়তে বিশেষ অবদানের জন্য বাসচালক, স্কুলশিক্ষক, সাফাইকর্মী-সহ দিল্লির পঞ্চাশজন সাধারণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। দিল্লির ৭ জন সাংসদ এবং সদ্য নির্বাচিত ৮ বিজেপি বিধায়ককের কাছেও গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। বারাণসীতে পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সম্ভবত যোগ দিতে পারছেন না।


আরও পড়ুন- তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে অরবিন্দ কেজরীবাল! আজ রামলীলা ময়দানে শপথগ্রহণ


সূত্রের খবর, এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান 'দিল্লিকেন্দ্রিক' রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ নেতৃত্ব। তাই অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা ভিন রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই অনুষ্ঠানে। রামলীলা ময়দানে মঞ্চের সামনে বসার জন্য প্রায় ৪৫ হাজার চেয়ারের বন্দবস্ত থাকছে। পাশাপাশি রামলীলা ময়দানের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো থাকছে ১২টি এলইডি ডায়ান্ট স্ক্রিন। এখানে চোখ রেখেও দেখা যাবে শপথগ্রহণের গোটা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে বলে মনে করছে আপ নেতৃত্ব।