নিজস্ব প্রতিবেদন- উত্তরপ্রদেশের হাথরস ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়ের মৃত্যুর পর গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। যদিও যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের পুলিস জানিয়েছে, হাথরসের দলিত মেয়েটির ধর্ষণ হয়নি। এমনকী ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তবে ঘাড়, শিরদাঁড়া, পা, কোমর সহ একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু পুলিস বলছে, ধর্ষণের কোনও চিহ্ন নেই। যদিও এমন দাবি মানতে নারাজ নির্যাতিতার পরিবার। এমনকী গোটা দেশের সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে, পুলিস প্রশাসন কি কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছে! না হলে রাতের অন্ধকারে চুপিসারে মেয়েটির মৃতদেহ সৎকার করল কেন পুলিস! তাছাড়া হাতের জেলাশাসক কেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের বয়ান বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরস কাণ্ডের মাঝেই সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে একাধিক গণধর্ষণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বলরামপুর, বুলন্দশহরের মতো জায়গায় মেয়েদের নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে। তবে রেকর্ড বলছে, এ দেশে মেয়েদের নির্যাতনের ইতিহাস অনেক পুরনো। সম্প্রতি দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এদেশে প্রতি ১৬ মিনিটে অন্তত একজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়। প্রতি ঘন্টায় একটি মেয়েকে পণের জন্য তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোক খুন করে। নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। বিশেষ করে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখন এমন একটা রিপোর্ট দেশবাসীর ক্ষোভ দ্বিগুণ করে দিতে পারে।


আরও পড়ুন-  দোষীই যদি না হবেন, তো আডবাণীরা কী করছিলেন সেদিন? 'বাবরি বাঁচাতে মানবশৃঙ্খল!'


এনসিবির এই রিপোর্ট আরো বলছে, প্রতি চার মিনিটে এদেশে একটি মেয়ে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোক অথবা স্বামীর হাতে নির্যাতিতা, লাঞ্ছিতা হয়। এদেশে প্রতি দুদিনে একজন মেয়ের উপর অ্যাসিড আক্রমণ হয়। রেকর্ড এমনও বলছে, প্রতি ৩০ ঘন্টায় ভারতে অন্তত একজন মেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। আর প্রতি দু'ঘণ্টায় অন্তত একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। প্রতি ছমিনিটে এদেশে একটি মেয়েকে অন্তত যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়। রিপোর্টে নারী পাচার নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি চার ঘন্টায় অন্তত একটি মেয়ে পাচার হয়ে যায়। এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট হালফিলে পাওয়া যায়নি। আর এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এদেশের মেয়েরা নিশ্চয়ই বলে উঠবেন, ''আমরা এদেশে সুরক্ষিত তো!''