ওয়েব ডেস্ক: সরকারের দুবছর পুরো হতেই সংস্কারের হাতুড়ি মারলেন মোদী। হাট করে খুলে দেওয়া হল দেশীয় বাজারের দরজা। প্রতিরক্ষা, অসামরিক উড়ান, ওষুধশিল্প সবেতেই ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নির অনুমতি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমরসজ্জায় এখনও আত্মনির্ভর নয় ভারত। আধুনিক অস্ত্রের চাহিদা মেটাতে আমদানিই ভরসা। কেন্দ্রের যুক্তি, বিদেশি লগ্নি ও প্রযুক্তি এলে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের সমরাস্ত্র তৈরি সম্ভব। সোমবার সেই লগ্নির পথই খুলে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।


সামরিক ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নিতে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
বর্তমানে সামরিক ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির অনুমোদিত ঊর্ধ্বসীমা ৪৯ শতাংশ
১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রাখা হয়েছে


ওষুধ শিল্পেও আমূল সংস্কার। হাটখোলা হল দরজা। যদিও থাকছে কিছু শর্ত-


গ্রিনফিল্ড: অর্থাত্‍ নতুন কারখানা খোলায় বিদেশি লগ্নিতে পুরো একশো শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ব্রাউনফিল্ড: অর্থাত্‍ চালু বা বন্ধ কারখানায় লগ্নির ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ব্রাউনফিল্ড ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশের বেশি বিদেশি লগ্নিতে সরকারের অনুমতি লাগবে।


অসামরিক বিমান পরিবহণেও ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। একইশর্ত।
গ্রিনফিল্ড: অর্থাত্‍ নতুন উড়ান সংস্থা, বিমানবন্দর বা পরিকাঠামো তৈরিতে একশো শতাংশ বিদেশি লগ্নিতে ছাড়
ব্রাউনফিল্ড: অর্থাত্‍ চালু বা বন্ধ বিমানবন্দরে ৭৪ শতাংশ বিদেশি লগ্নিকে ছাড়
ব্রাউনফিল্ড ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশের বেশি বিদেশি লগ্নিতে সরকারের অনুমতি লাগবে


ডিজিটাল সম্প্রচার ক্ষেত্র যেমন ডিটিএইচ, টেলিপোর্ট, কেবল নেটওয়ার্কে ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। হঠাত্‍ এতটা সাহসী পদক্ষেপ কেন নিলেন মোদী? অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মেক ইন ইন্ডিয়ায় সেভাবে সাড়া মেলেনি। অর্থনীতিতে সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধি স্বস্তির হলেও তৃপ্তিদায়ক নয়। তাই আন্তর্জাতিক শিল্পমহলকে আরেকটু উত্‍সাহ দিতে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হল লগ্নির দরজা।