নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’নৌকায় পা দিয়ে রয়েছেন বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। কিন্তু সমান দূরত্ব বজায় রেখেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখেই চলছেন তিনি। তাই, মঙ্গলবার এক কৃষকসভায় সহজেই নবীন পট্টনায়েক বলতে পারলেন, মহাজোট অংশগ্রহণের বিষয়ে আরও একটু ভেবে দেখতে চাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডিসেম্বরের শেষে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর রাও ফেডারেল ফ্রন্টের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন পট্টনায়েকর কাছে। তবে, এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন পট্টনায়েক। তেলঙ্গানা নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী কেসিআর যদিও দাবি করেছেন পট্টনায়েকের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। এই মুহূর্তে এনডিএ-র শরিকও নয় বিজেডি। বিভিন্ন সময় মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে। এ দিন কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ২৯৩০ টাকা করার দাবি জানান নবীন পট্টনায়েক। এমনকি এ বিষয়ে  রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবে পট্টনায়েকর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি দল।


আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য তৈরি হল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ


ভোটের মুখে হাল্কা চালে বিজেপির বিরোধিতা যেমন করছেন, তেমনই কংগ্রেসের জন্য দরজা খোলাও রেখেছেন তিনি। রাফাল-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন নিশানা করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে কংগ্রেসের ভাল হওয়ার পর জাতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে রাহুলের। মহাজোট নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তবে, নবীন পট্টনায়েকও তাঁর অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেননি। 


আরও পড়ুন- মোদীই একবিংশ শতকের আম্বেদকর, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক


২০০৯-র একদা এনডিএ শরিক বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএকে যেমন সমর্থন জানিয়েছিলেন, আবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দূরে থেকেছেন তিনি। অন্য দিকে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটা ফোনেই এনডিএ-কে সমর্থন করেন নবীন পট্টনায়েক। অর্থাত্ বিজেপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সমান দূরত্ব নিয়ে এগিয়ে চলছেন প্রায় দু’দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা পট্টনায়েক। তাই নবীন কোন দিকে ঝুঁকবেন এই মুহূর্তে বলা মুশকিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।