ওয়েব ডেস্ক: কী ভুল করেছিল মেয়েটা? কে জবাব দেবে? সন্তান হারানোর যন্ত্রণাবিদ্ধ বাবার মুখ এই কথাগুলিই বেরিয়ে আসছিল। অভাবে সংসারে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল তামিলনাড়ুর দলিত মেয়ে অনিতা। জাতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সু‌যোগ তিনি পাননি। হতাশার ফাঁসে শুক্রবার আত্মহত্যা করেন পড়ুয়াটি। মেধাবী ছাত্রীর কেন এহেন পরিণতি? জবাব চেয়ে পথে নেমেছে তামিলনাড়ুর জনতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনিতার শোকগ্রস্ত বাবা বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতেও অনিতা পড়াশুনো চালিয়ে গিয়েছে। রাজ্যের হাতে মেডিক্যাল প্রবেশিকার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে অনিতার হয়ে মামলা লড়েছিলেন সেলভারাজ। তাঁর কথায়, খুব আত্মবিশ্বাসী মেয়ে ছিল। উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখত। বাবা শ্রমজীবী। তা সত্ত্বেও মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সমর্থন দিয়েছিলেন। অনিতার এই পরিণতির জন্য সরকার ও বিচারব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন তিনি।


গতবছর ২২ অগাস্ট তামিলনাড়ুতে নিট পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দ্বাদশের বোর্ডের পরীক্ষায় ১,২০০-র মধ্যে ১১৭৬ পেয়েছিল অনিতা। সেখানে নিট-এ পেয়েছে মাত্র ৭৬। সুপ্রিম কোর্টের রায় পর  এমবিবিএসে ভর্তির সু‌যোগ পাননি অনিতা। 


আরও পড়ুন, গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার চিকিৎসক কাফিল খান