ওয়েব ডেস্ক: রাত থেকে কোনও খাবার দাঁতে কাটেননি। সামান্য দুধ খেয়ে ঠেলে দিয়েছিলেন গ্লাস। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, প্রবল টেনশনের ছাপ মুখেচোখে স্পষ্ট। এখনকার রাম রহিমকে দেখে আপনি গুলিয়ে ফেলবেন, ইনিই নাকি সেই  ‘রকস্টার বাবা’।  গুরমিত রাম রহিম সিংহ এখন কয়েদি নম্বর ১৯৯৭।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সাজা শোনার পরেই সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে ধর্ষক বাবা।হেলিকপ্টারে করে রোহতকের জেলে নিয়ে যাওয়ার পর কাঁদতে শুরু করে রাম রহিম। এই জেলেই ১০-১০ করে ২০ বছর কাটাতে হবে তাকে। আপাতত ধর্ষক বাবাকে জেলের একটি ছোট কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে অন্য কোনও বন্দি নেই। 


তবে রায় ঘোষণার পরেই সামনে এসেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।


সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাবার আশ্রমে যে কজন সাধ্বী ছিলেন, তাঁদের ৯০ শতাংশকেই ধর্ষণ করেছে বাবা। সিবিআই-এর এম এল শর্মা জানান, এখনও পর্যন্ত ৩০-৪০ জন সাধ্বীকে ধর্ষণ করার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে খুন করে তাঁদের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।


প্রকাশ্যে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। ডেরা হেড কোয়ার্টারে অনেকের দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে বাবার সাগরেদরা। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি বাবা রাম রহিমের কেচ্ছা সামনে আনার উদ্যোগ নেন এবং খুন হন। এই খুনের সঙ্গেও ধর্ষক বাবা জড়িত কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নতুন করে। রাম রহিমের পনেরো বছরের সঙ্গী বিয়ন্ত সিংহ সংবাদ সংস্থার কাছে দাবি করেন, ধর্মগুরু তার দত্তক নেওয়া মেয়ের স্বামীকেও হেনস্থা করেছে।