ওয়েব ডেস্ক : বিমানবন্দরে অশনি সঙ্কেত। পয়লা এপ্রিল থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে দেখা দিতে পারে Ground Handling স্টাফের সঙ্কট। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পরিষেবায়। ফলে দুর্ভোগে পড়তে পারেন যাত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পয়লা এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে চালু হচ্ছে নয়া বিমান নীতি। ফলে, বাতিল হবে লক্ষাধিক গ্রাউন্ড স্টাফের লাইসেন্স। পরিবর্তে, সেই কাজের দায়িত্বে থাকবে Airport Authority of India-র অনুমোদিত চারটি সংস্থা - এয়ার ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেড, ভদ্রা ইন্টারন্যাশনাল, ইন্দো-থাই এবং NAAS। কিন্তু, ভদ্রা ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ। বকেয়া একশো আটত্রিশ কোটি টাকা না মেটানোয় বাতিল হতে হওয়ার তাদের লাইসেন্স।


৬ জানুয়ারি কলকাতা সহ দেশের ৭ বিমানবন্দর অধিকর্তাকে একটি চিঠি পাঠায় AAI। সেই চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, ১৫ দিনের মধ্যে ভদ্রা ইন্টারন্যাশনাল বকেয়া টাকা না মেটালে, সংস্থার কর্মীরা সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে কাজ করতে পারবেন না। এখানেই শেষ নয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি AAI-এর এক শীর্ষ আধিকারিক ফের ৭ বিমানবন্দর অধিকর্তাদের একটি email পাঠান। সেখানে বলা হয়, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বকেয়া টাকা মেটায়নি ভদ্রা। তাই বিমানবন্দর চত্বরে থাকা তাদের সমস্ত জিনিস বাজেয়াপ্ত করবে AAI।


আরও পড়ুন-


বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে কাজ করছে প্রায় শতাধিক গ্রাউন্ড স্টাফ এজেন্সি। যাদের কর্মী সংখ্যা লক্ষাধিক।ব্যাগেজ চেকিং, লাগেজ আপলোডিং, অসুস্থ যাত্রীর কাছে Wheel Chair পৌছে দেওয়া থেকে শুরু করে বিমান পরিষ্কারের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন এইসমস্ত গ্রাউন্ড স্টাফেরা।


নয়া নীতি কার্যকর হলে, কাজ হারাবেন এই সমস্ত কর্মীরা। তেমনটা হলে লক্ষাধিক কর্মীর কাজ সামলাতে হবে চার অনুমোদিত সংস্থার কয়েক হাজার কর্মীকে। একনজরে দেখে নেব কোন সংস্থায় কতজন কর্মী রয়েছেন। এক হাজার সাতশোজন করে কর্মী কাজ করেন এয়ার ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ভদ্রা ইন্টারন্যাশনালে। ৫০০জন করে কাজ করেন ইন্দো থাই এবং NAAS-এতে।


লক্ষাধিক কর্মীর কাজ কীভাবে তাঁরা সামলাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।