G20 Summit 2023: `দিল্লি ঘোষণাপত্র` দিয়ে জি২০-তে জয় মোদীরই! ইউক্রেন-প্রশ্নে সব দেশই মানল ভারতকে...
G20 Summit: দীর্ঘ টালবাহানার পর জি২০-র সভাপতি দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ভারত মন্ডপমে এই সংবাদ ঘোষণা করেন যে, শেষ পর্যন্ত সকলের সহযোগিতায় `নিউ দিল্লি জি২০ ঘোষণাপত্র` গ্রহণ করতে সকলে সম্মত হয়েছে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘোষণাপত্রে যুক্ত হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধপ্রসঙ্গ। এবার সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল সেই 'দিল্লি ঘোষণাপত্র'। সেখানে লেখা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই বিখ্যাত কথা-- 'এটা যুদ্ধের সময় নয়'। দীর্ঘ টালবাহানার পর জি২০-র সভাপতি দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার 'ভারত মন্ডপমে' এই সংবাদ ঘোষণা করেন যে, শেষ পর্যন্ত সকলের সহযোগিতায় 'নিউ দিল্লি জি২০ ঘোষণাপত্র' গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে সব দেশই!
আরও পড়ুন: G20 Summit: জি২০-র ঘোষণাপত্রে নতুন অধ্যায়! বাকি সদস্যদেশ কী ভাবে নেবে ইউক্রেন-প্রসঙ্গ?
জি২০-কে নিছক ভূরাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মঞ্চ না করে তুলে বরং তাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আলোচনা ক্ষেত্র করে তোলাই ছিল ভারতের লক্ষ্য। অথচ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে জি২০-র সেই চরিত্রটাই নষ্ট হয়ে যায়। অর্থনীতি, উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতাকে আবার এই গোষ্ঠীর আলোচনার মূল স্রোতে নিয়ে আসা গিয়েছে বলেই ভারতের দাবি।
ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ করে ঘোষণাপত্রের অষ্টম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ সভায় গৃহীত প্রস্তাবই মানতে হবে। কোনও দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত চলবে না। গায়ের জোরে কোনও দেশের ভৌগোলিক সীমানা লঙ্ঘন নয় বা তার পরিবর্তন নয়। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকিও কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
জি২০ বৈঠকে দিল্লি ঘোষণাপত্র গৃহীত না হলে তা ভারতের নেতৃত্বের পক্ষে একটা বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হত। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের কূটনীতিকেরা সমাধানসূত্রের খোঁজ দিতে পেরেছেন। ঘোষণাপত্রে কয়েকটি অধ্যায় নতুন করে লিখে যোগ করা হল। যেখানে পরিষ্কার করে বলা হল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও ঘোষণাপত্রে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হল, তবে রাশিয়ার নাম কোথাও সরাসরি উচ্চারণ করা হল না।
৩৭ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রকে সর্বসম্মত করে তুলতে যে চারটি অনুচ্ছেদ নতুন করে লিখতে হয়েছে তার প্রতিটি শব্দ খুঁটিয়ে দেখে তবেই প্রতিটি দেশ তা অনুমোদন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তা ভারতের জয়ই। কূটনৈতিক জয়। ঘোষণাপত্রে অবশ্য 'ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' শব্দবন্ধের বদলে 'ইউক্রেনে যুদ্ধ' শব্দ ব্যবহৃত হওয়ায় সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসে বলে মত সব পক্ষের।