নিজস্ব প্রতিবেদন: অপরিবর্তিত থাকল আয়কর। এবারের বাজাটে আয়কর ছাড়ের ঘোষণা না করলেও চিকিত্সা ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার টাকা ছাড় পাবেন মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীরা।  চিকিত্সা ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও সুবিধা না থাকলে, তাঁরা পুরো টাকাই ছাড় পাবেন। অর্থাত্ ২ লক্ষ ৯০ হাডার টাকা পর্যন্ত আয়কর পাওয়া যাবে। তবে, শিক্ষা ক্ষেত্রে সেস বাড়িয়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ করে একটু চাপে রাখা হয়েছে চাকুরিজীবীদের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আয়কর ধাপ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ
বছরে মোট আয় ৪,০০,০০০ ৪,০০,০০০
এককালীন ছাড় (স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন) - -৪০,০০০
চিকিত্সা এবং যাতায়াত বাবদ (১৫,০০০+১৯,২০০) ৩৪,২০০ নেই
ছাড় দিয়ে দাঁড়াল- ৩.৬৫,৮০০ - ২,৫০,০০০ ৩,৬০,০০০ - ২,৫০,০০০
আয়কর ছাড় (২,৫০,০০০ পর্যন্ত) ১,১৫,৮০০ ১,১০,০০০
২,৫০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ পর্যন্ত আয়ের ৫ % হারে কর ৫,৭৯০ ৫,৫০০
শিক্ষাক্ষেত্রে সেস (গত বছর ৩% এবং ২০১৮-১৯-এ ৪%) (+) ১৭৩.৭০ (+) ২২০
মোট আয়কর ৫,৯৬৩.৭০ ৫৭২০
আপনার সেভ হবে   ২৪৩.৭০
পরের আয়কর ধাপগুলি একইভাবে হিসেব হবে (টাকায়)

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নয়া বাজেট পেশ হওয়ার পর চলতি অর্থবর্ষের আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞারা। যেমন-


১) প্রতি মাসে মাইনে থেকে টিডিএস কেটে কোম্পানি যে ফর্ম ১৬ দিয়ে থাকে, এটাই আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র ডকুমেন্টস নয়।


২) ৩১ জুলাই আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিফ পেরিয়ে গেলে ৩১ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত সেই কর জমা দেওয়া যাবে।


৩) ব্যাঙ্কে সেভিং অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত টাকার মোট সুদের পরিমাণ ১০ হাজারের উপর হলে আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।


৪) ৫০ হাজার টাকার বেশি বাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ টিডিএস দিতে হবে ভাড়াটিয়াদের।