ওয়েব ডেস্ক : দেশে পর পর ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত NIA। এবারে বিহারে ধৃত ৩ পাক চরকে জিজ্ঞাসাবদ করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুলিসি জেরায় তারা কানপুর এবং ঘোরাসানের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের কথা স্বীকার করেছে। ৩ মাসে চারটি ট্রেন দুর্ঘটনা। মৃত দু'শোর কাছাকাছি। রেলের নিরাপত্তা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১ অক্টোবর, ২০১৬: বিহারের ঘোরাসানের কাছে রেললাইনে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়
২০, নভেম্বর, ২০১৬: কানপুরের কাছে লাইনচ্যুত পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেসের ১৪টি কামরা। মৃত ১৪৫ জন
২২, জানুয়ারি, ২০১৭: অন্ধ্রের কুনেরুতে লাইনচ্যুত হীরাখণ্ড এক্সপ্রেসের ৯টি কামরা। ২৯ জন যাত্রীর মৃত্যু


অন্তর্ঘাতের নেপথ্যে ISI


ডিসেম্বরে বিহারের মোতিহারিতে গ্রেফতার হয় তিন ISI এজেন্ট।  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহার পুলিস নিশ্চিত হয় ঘোরাসান এবং কানপুরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর। এরপরই ঘোরাসান, কানপুর এবং হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস কাণ্ডের তদন্তভার নেয় NIA. প্রাথমিক তদন্তের পর বিহারের পুলিসের সঙ্গেই একমত ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। NIA-এর দাবি, ধৃত ৩ ISI চর জেরায় ঘোরাসান এবং কানপুরে অন্তর্ঘাতের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতদের কল লিস্ট খতিয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত, তারা নিয়মিত তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। নেপালি হ্যান্ডলার ব্রিজকিশোর গিরি, দুবাইয়ের এজেন্ট  শামসুল হুদা এবং করাচির ISI এজেন্ট সফি শেখের সঙ্গে বহুবার তাদের কথা হয়। গত অগাস্টে দুবাইয়ে হুদা এবং সফির সঙ্গে ভারতে ট্রেনে নাশকতার বিষয়ে আলোচনা হয় ধৃতদের ।ঘটনায় করাচির বাসিন্দা ISI ঘনিষ্ঠ এক ডনের নামও উঠে আসছে। কানপুরের ঘটনায় স্থানীয় IS সমর্থকদের ব্যবহার করা হয়েছে বলে আশঙ্কা। অন্ধ্রে হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পিছনেও অন্তর্ঘাতের বিষয়ে নিশ্চিত NIA। ধৃত তিন পাক চরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় NIA.  তাদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নেপালি এজেন্ট গিরি, এবং দুই পাক এজেন্ট হুদা এবং সফির প্রত্যর্পণের দাবি জানাতে চলেছে NIA.