নিজস্ব প্রতিবেদন- ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে কলেজ ছাত্রী নিকিতা তোমর হত্যাকাণ্ডে এবার ৭০০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিল তদন্তকারী দল। সিট-এর তরফে সেই চারজশিটে দাবি করা হয়েছে, দুবছর ধরে এই খুনের চক্রান্ত করছিল তৌসিফ নামের সেই যুবক। ঘটনার ১১ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট। ২৬ অক্টোবর কলেজের বাইরে রাস্তার উপর নিকিতাকে গুলি করে পালিয়ে গিয়েছিল তৌসিফ। সেই সময় নিকিত সঙ্গে তাঁর এক বান্ধবী ছিল। প্রকাশ্য রাস্তায় নিকিতাকে গুলি করে তৌসিফ। প্রথমে তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল তৌসিফ। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার পরই নিকিতাকে গুলি করে সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় লভ জিহাদেরও অভিযোগ উঠেছিল। নিকিতার বাড়ির লোকদের দাবি ছিল, তৌসিফ নামের যুবক অনেকদিন ধরেই নিকিতাকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকী তৌসিফের মা-ও নিকিতাকে ধর্ম পরিবর্তন করে নিকাহ্-র জন্য চাপ দিয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। ১১ দিনের মাথায় ফরিদাবাদ কোর্টে দাখিল কর চার্জশিটে সিট দাবি করেছে, এই ঘটনায় ১১ জন প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে লাইসেন্স-সহ বন্দুক দেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে গানম্যান রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৌসিফ নামের সেই যুবককে শাস্তি দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে পুলিস-প্রশাসন। 


আরও পড়ুন-  ''বোনকে খুন করোনি তো?'' সিবিআই-এর প্রশ্নে মুখের উপর উত্তর হাথরস নির্যাতিতার দাদার


২৬ অক্টোবর কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন নিকিতা। পরীক্ষার শেষে রাস্তা উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তখনই তৌসিফ ও তাঁর এক সঙ্গী এসে নিকিতাকে অপহরণের চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হতেই তাঁকে গুলি করে দেয় তৌসিফ। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নিকিতা। এই ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই তৌসিফকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে খুন ও অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। নিকিতার বাবা দাবি করেছিলেন, বছর দুয়েক আগেও একবার নিকিতাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল তৌসিফ। সেবার পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও শেষমেশ তা ফিরিয়ে নেন নিকিতার বাবা। ফলে পুলিস আর তৌসিফের বিরুদ্ধে সেবার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।