নিজস্ব প্রতিবেদন: আইনজীবী না থাকায় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী পবন গুপ্তাকে আইনি সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব দিল দিল্লির আদালত। দীর্ঘদিন ধরে পবন গুপ্তার হয়ে সওয়াল করার জন্য আইনজীবী নেই। এনিয়ে বুধবার অসন্তোষপ্রকাশ করেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পবনের আইনজীবী এখন আর কেউ নেই। নতুন কাউকে নিয়োগ করার জন্য সময় চেয়েছে সে। এভাবে সময় নষ্ট হওয়ায় অসন্তুষ্ট আদালত। বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানা তখন আইনি সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আদালতে উপস্থিত নির্ভয়ার মা আশাবাদী ভেঙে পড়েন কান্নায়। তাঁর কথায়,''দেড় বছর ধরে আদালতে আছি। মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমারও সুবিচার চাই। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।''     


সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করতে নতুন তারিখ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে নিম্ন আদালতের। এরপরই মঙ্গলবার আদালতে নতুন করে আবেদন করে দিল্লি সরকার ও নির্ভয়ার মা-বাবা। 


ঠিক ছিল ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হবে নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ দোষীকে। সে যাত্রায় ফাঁসি পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল তারা। পরে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন স্থির হয়। ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদও তিহাড় জেলে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। আগের দিন, দিল্লির পাতিয়ালা আদালত স্থগিত করে মৃত্যুদণ্ড। অপরাধীদের আলাদা আলাদা করে ফাঁসি দেওয়ার আর্জি করেছিল কেন্দ্র। সেই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কাইত জানিয়েছিলেন,''দিল্লি বন্দি বিধি অনুযায়ী, একই অপরাধে একজনের প্রাণভিক্ষার আর্জি পড়ে থাকলে অন্য অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া যায় না।''        


২০১২ সালের ডিসেম্বরে ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা, মুকেশ, রাম সিং, অক্ষয় সিং ও এক নাবালক। ১৩ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করার পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। ৩ বছর হোমে থাকার পর মুক্ত হয়ে গিয়েছে ওই নাবালক।  জেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় মূল অপরাধী রাম সিং।         


আরও পড়ুন- বদমাইশি করে মালদহে আদিবাসী মেয়েগুলিকে ধর্মান্তরণ করে বিয়ে দিচ্ছিল বিজেপি: মমতা