নির্ভয়ার ধর্ষকের নাবালকের যুক্তি খারিজ, ভুয়ো নথি পেশ করায় আইনজীবীকে জরিমানা দিল্লি হাইকোর্টের
দোষী সাব্যস্ত পবণ কুমারের তরফে দাবি, তার অসিফিকেশন পরীক্ষা (অস্থি সংক্রান্ত) না হওয়ায় তাকে ‘বেনিফিড অব ডাউট’-এ রাখা উচিত। যদিও এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট জানায়, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করেই অভিযুক্তদের দোষীসাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়ার উপর যখন নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়, তখন ধর্ষক পবণ কুমার গুপ্তা নাবালক ছিল। এই দাবি করে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধর্ষকের আইনজীবী এপি সিং। তাঁর এই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন বিচারপতি সুরেশ কুমার কায়েত। পাশাপাশি, আদালতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ‘লুকিচুরি’ খেলায় এপি সিংকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়।
দোষী সাব্যস্ত পবণ কুমারের তরফে দাবি, তার অসিফিকেশন পরীক্ষা (অস্থি সংক্রান্ত) না হওয়ায় তাকে ‘বেনিফিড অব ডাউট’-এ রাখা উচিত। যদিও এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট জানায়, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করেই অভিযুক্তদের দোষীসাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। তাই এই আবেদনের সারবত্তা নেই বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। কিন্তু পবণের আইনজীবী এপি সিংকে একাধিক বার নোটিস পাঠিয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তীব্র ভর্তসনা করা হয়। ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে দিল্লির হাইকোর্ট। নকল তথ্য পেশের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারিতে নাগরিকত্ব সংশোধনীতে গণভোটের দাবি মমতার
উল্লেখ্য, গতকাল আরও এক দোষী অক্ষয় ঠাকুর প্রাণভিক্ষার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। খারিজ করে দেওয়া হয় অক্ষয়ের আবেদন। এ দিন ‘ডেথ ওয়ারেন্ট’ প্রকাশ করার আগে পাটিয়ালা হাউস কোর্ট তিহাড় জেলকে নোটিস দেয়। দোষীরা আর কোনও আইনি পন্থা ব্যবহার করতে চায় কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে।