নিজস্ব প্রতিবেদন: আইনি প্যাঁচে এখনও আটকে নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্তদের ফাঁসি। গত ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন ঠিক হলেও আইনি গেরোয় পড়ে তা ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে। এদিকে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপরে। এরকম এক অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সেলফি, ফুলের মালা, বাইক মিছিল করে ছত্রধরকে ‘বরণ’ করল জঙ্গলমহল


 রবিবার দিল্লি হাইকোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আইনের অপব্যবহার করছে আসামীরা। তাই তাদের ফাঁসি পৃথকভাবে হতে পারে।  প্রসঙ্গত, নির্ভয়াকাণ্ডে আসামীদের ফাঁসির কার্যকর করার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হওয়া এক মামলার শুনানি হচ্ছিল এদিন। সেখানেই সরকারের বক্তব্য আদালতকে জানিয়ে দেন সলিসিটর জেনারেল।


তুষার মেহতা এদিন বলেন, ন্যায় বিচারের কথা বললে,  এই মামলায় ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া য়ায় না।  আসামীদের কথা বিচার করলেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিন পেছলে তা অন্যান্য আসামীদের ওপরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।  এই মামলায় আসামীরা আইনের আশ্রয় নিয়ে খেলা করছে। এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশের মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে আসামীরা।


আরও পড়ুন-স্ত্রী-র কাটা মুণ্ড হাতে হেঁটে বেড়াচ্ছিল যুবক, তারপর...


উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ আসামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই রায়ের পর পড়ে থাকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন। কিন্তু নির্ভায়াকাণ্ডের আসামীরা একসঙ্গে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করে একে একে তা করে চলেছে। শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে অক্ষয় ঠাকুর।  এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে বিনয় শর্মা। তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।  তবে ৪ অপরাধীর মধ্যে একমাত্র মুকেশ সিংয়ের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হলে ফাঁসি হওয়া সম্ভব নয়। তার মধ্যে এই আবেদন করল কেন্দ্র।