নিজস্ব প্রতিবেদন : ৭ বছর ৩ মাস। সন্তান হারানোর যন্ত্রণাকে বুকে চেপে রেখে দীর্ঘ আইনি লড়াই। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। অবশেষে সুবিচার। দেরিতে হলেও অবশেষে সুবিচার পেল নির্ভয়া। সুবিচার পেল তাঁর মেয়ে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসিকাঠে ঝুলানো হয়েছে ২০১২ নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত পবন গুপ্তা, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, মুকেশ সিংকে। ফাঁসি সম্পন্ন হওয়ার পর, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের জয়ের স্বস্তি নির্ভয়ার মা আশা দেবীর চোখেমুখে। এদিন নির্ভয়ার মা বলেন, "আজ আমি মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরে ওকে একটাই কথা বলি। অবশেষে তুই বিচার পেলি।" 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি আরও বলেন, "আমাদের মেয়ে আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। কোনওদিন আর ফিরেও আসবে না। ও চলে যাওয়ার পরই আমাদের এই লড়াই শুরু। এই লড়াইটা ওর জন্য ছিল। তবে ভবিষ্যতেও আমাদের অন্য মেয়েদের জন্য এই লড়াই চলতে থাকবে। আজ আমি আমার মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরি। ওকে বলি, দেরিতে হলেও তুই বিচার পেলি মা।" 


নির্ভয়ার মায়ের কথায়, এই লড়াইটা দীর্ঘ ৮ বছরের লড়াই ছিল। প্রথম যেদিন ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছিল, সেদিন বিচার হয়েছিল। আজ নির্ভয়া বিচার পেল। নির্ভয়া সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের বিচার ব্যবস্থা, সরকার ও প্রত্যেক নাগরিককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। আজকের পর থেকে দেশের রাস্তায় মেয়েরা অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। এই 'ফাঁসির দৃষ্টান্ত'কে সামনে রেখে প্রত্যেকটি পরিবার তাঁদের ছেলেদের মেয়েদেরকে সম্মান করতে শেখাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন নির্ভয়ার মা।


আরও পড়ুন, ৭ বছর পর ফাঁসি নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীর


আশা দেবী জানিয়েছেন, নির্ভয়ার বিচার পেতে ৮ বছর সময় লাগল। ভবিষ্যতে বিচার প্রক্রিয়া যাতে আরও দ্রুত ও সময়ের মধ্যে এই মর্মে তিনি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবেন। বিশেষ করে যদি কোনও ঘটনায় একাধিক দোষী থাকে, তবে যেন কোনওভাবেই বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যই কেন্দ্রের কাছে দ্বারস্থ হবেন তিনি।