নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সারা দেশে জারি লকডাউন।  টানা লকডাউনের জেরে তলানিতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এই চরম সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তাই ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজতে এবার প্রধানমন্ত্রীর মোদীর  সঙ্গে বৈঠক করলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জনতা কার্ফুর পর  ২৫ মার্চ টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর দেশে সংক্রমণের পরিস্থিতি মাথায় রেখে  ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন নমো। আপাতত দেশে ৩ মে পর্যন্ত জারি রয়েছে লকডাউন। লাগাতার লকডাউনের জেরে বন্ধ দেশের বড় বড় সমস্ত শিল্প। দেশের আয়ের সব রাস্তাই বন্ধ। যার দরুণ যথেষ্ট উদ্বেগে দেশের অর্থ মন্ত্রক। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায় তা নিয়েই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন।


সরকার বুধবারই লকডাউনের গাইডলাইন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে এই দ্বিতীয় দফার লকডাউেন ছাড় দেওয়া হয়েছে কয়েকটি সেক্টরকে। নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ২০ এপ্রিল থেকে ছাড় দেওয়া হবে আইটি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণের ক্ষেত্রে। ছাড় থাকছে কৃষিকাজ ও কৃষি বিপণন এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কাজে, ছাড় থাকছে ছোট খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সাধারণ পণ্য, দুটির পরিবহণেই মিলবে ছাড়। ছাড় থাকছে মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাঁস-মুরগি পরিবহণ ও বিক্রিতে। চা, কফির উৎপাদন ও সরবরাহ, এবং রবার বাগানের কাজকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কাজ এবং গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, সেচ প্রকল্প, ভবন, শিল্প প্রকল্প নির্মাণের কাজেও মিলবে ছাড়। কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা কেন্দ্র বললেও এই নিয়ম কার্যকরী নয় হটস্পট অঞ্চলগুলিতে। 


সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়লা, খনিজ, তেল উৎপাদনের কাজও চলবে। আরবিআই, অন্যান্য ব্যাংক, এটিএম, সেবি ও বীমা সংস্থাগুলির কাজও চলবে। পাশাপাশি ই-কমার্স, আইটি এবং আইটি-সংক্রান্ত পরিষেবা, হার্ডওয়্যার, প্রয়োজনীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং শিল্পের কাজও শুরু করা যাবে ২০ এপ্রিল থেকে। খোলা রাখা যাবে ডেটা ও কল সেন্টারগুলোও। এমনই জানানো হয়েছে সরাকারি নির্দেশিকা মারফত।


কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করার সময় নমো বলেছিলেন, "দরিদ্র ও দুর্বলদের এই কঠিন সময়ের সবচেয়ে বেশি সহায়তার প্রয়োজন।"। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আগামী ৩ মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য এবং রান্নার গ্যাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যার প্রশংসা করেছেন বিরোধী নেত্রী সনিয়া গান্ধী। এবার নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকার নতুন কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।


আরও পড়ুন,